চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ

0
502

খবর ৭১ঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে অবরোধ কর্মসূচি পালনকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। ছাত্রলীগ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে।

ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা প্রত্যাহার, প্রক্টরের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অবরোধের শুরুতেই শাটল ট্রেন আটকে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের কয়েকটি বগির হোস পাইপ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

দুপুর ১২টার আগে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। কর্তৃপক্ষের এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে তাদের উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে অবরোধকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মূল ফটক থেকে সরে ছাত্রলীগ কর্মীরা শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান করছে। সেখান থেকেই তারা পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল ছুড়ছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শাটল ট্রেনের চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়।পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেওয়া হয়। অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ সাল থেকে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাংগীরের প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, চার দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় রুটে ট্রেন ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাসে সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সরজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে থাকা অন্তত ৩০টি বাস ও গাড়ির চাকা কেটে দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here