ঘোড়াঘাটে শতভাগ বিদ্যুতায়ন না হলেও জোর চেষ্টা চলছে শতভাগের প্রত্যয়ন নেয়ার

0
264

মোফাজ্জল হোসেন, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এর ভিশন বাস্তবায়ন নিয়ে চলছে ব্যাপক তৎপরতা। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শতভাগ বিদ্যুতায়ন না হলেও পল্লীবিদ্যুৎ শতভাগে প্রত্যয়ন নেয়ার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। শতভাগ না হলেও পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম সম্প্রতি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিএমএ মমিনকে তার উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন হয়েছে মর্মে প্রত্যয়নের জন্য মুঠোফোনে অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি উপজেলার ৪টি ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রকে অবগত করেন। চেয়ারম্যানগণ এ নিয়ে একটি বৈঠক করলেও ইতিমধ্যে ২নং পালশা ইউপি চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম, ৪নং ঘোড়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ও পৌর মেয়র আঃ ছাত্তার মিলনের নিকট থেকে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি -২এর রাণীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মিজানুর রহমানের অনুরোধে তারা শতভাগের প্রত্যয়ন পত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসে জমা দিয়েছেন। অপর দিকে ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান মন্ডল ও ১নং বুলাকীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান লাবলু শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেননি। এ ব্যাপারে সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত শতভাগের অর্ধেক বিদ্যুতায়ন হয়েছে। তিনি কেমন করে শতভাগ প্রত্যয়ন পত্র দিবেন। এর মধ্যে কিছু কিছু গ্রামের এখনো বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের নকশা বা টেন্ডার পর্যন্ত হয়নি । এ ছাড়াও রাণীগঞ্জ জোনাল অফিসের একটি অনুমোদিতে তালিকা অনুযায়ী দেখা যায়, ৩৪টি গ্রামের ৬৭টি পোল এখন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি। গত সোমবার রাতে ডিজিএম মিজানুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান মান্নানকে প্রথমে ফোনে শতভাগের প্রত্যয়পত্রের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে ডিজিএম বলেন, আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারলাম না, দেখি আমরা কি করতে পারি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, প্রত্যয়ন পত্র না দেয়ায় ডিজিএম তাকে হুমকিমূলক কথা বলেছেন। বুলাকীপুর ইউপি চেয়ারম্যান একই কথা জানান যে, তার নিজ বাড়ীতেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। পালশা ইউপি চেয়ারম্যান, ঘোড়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ও ঘোড়াঘাট পৌর মেয়র জানান, আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে প্রত্যয়ন পত্র নিয়েছেন। এ সব ইউনিয়নও শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টি এম এ মমিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সব চেয়ারম্যান এখন শতভাগের প্রত্যয়ন দেয়নি। প্রত্যয়ন আমার অফিসেই দিতে হবে। তবে শতভাগের ব্যাপারে তিনি জানান, শতভাগ করার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে । শতভাগ বিদ্যুতায়ন হলে ইউপি চেয়ারম্যানদের এ প্রত্যয়ন পরবর্তী বিদ্যুৎ বঞ্চিত  পরিবারগুলোর বিদ্যুৎ পেতে কতটুকু নাজেহাল হবে তা নিয়েই চিন্তা করছেন দুই ইউপি চেয়ারম্যান। ঘোড়াঘাট উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের বিষয়ে রানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম এর সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, .৫% বাকী রয়েছে।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here