ঘরোয়া সভা করলেও লাগবে অনুমতি: ইসি

0
239
খবর৭১: আসন্ন রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের কোনো সভা করতে হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। জনসভা, কিংবা পথসভা তো নয়ই, অনুমতি ছাড়া ঘরোয়া সভাও করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে অথবা যথাযথভাবে প্রচার করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সংস্থাটির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, এরইমধ্যে নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, নির্দেশনাগুলো দেয়া হয়েছে। যা অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতরসহ সংশ্লিষ্টদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বিধিমালার বিধি ৫ অনুসারে-প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কোনো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না। এই বিধি সব প্রার্থী ও তার সমর্থকদের মেনে চলতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও যেকোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে প্রচার কাজের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কেবল একটিমাত্র শব্দবর্ধণকারী যন্ত্র বা মাইক ব্যবহার করার জন্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। এজন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। কোনো প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্মানহানীকর তথা চরিত্রহনন করে বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমনবক্তব্য দিতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচারকাজে কেবলমাত্র দলীয় প্রধান হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে দলীয় প্রধান যদি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ তথা, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হন, তবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here