গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারে আধাপাকা ঘর ও টয়লেট নির্মানে চলছে অনিয়ম

0
528

হেদায়েত হোসাইন লিটন বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “জমি আছে ঘর নাই” নামের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর সুবিধা ভোগী হত দরিদ্রদের নামের তালিকায় থাকা ঘর নির্মানে হরিলুট চলছে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারে আধাপাকা ঘর ও টয়লেট নির্মানের লক্ষে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এক্ষেত্রে কোন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে উপজেলার শীর্ষ কর্মকর্তা সহ কতিপয় দালাল চক্র গৃহহীনদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এ প্রকল্পের কাজে সংশিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ঘর নির্মাণ কাজ চলছে গোটা উপজেলা জুড়ে। এক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়াল খুশিমত কাজের ফলে প্রকৃত হতদরিদ্ররা বি ত হচ্ছে মাথা গোজার ঠাই থেকে। খোঁজ নিযে জানা গেছে, প্রকল্প সংশিষ্টরা নগদ অর্থের বিনিময়ে কতিপয় ভূমিহীন পরিবারের মধ্যেও ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার নিয়োগের বিধান না থাকলেও নির্মান কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার নিম্মমানের নির্মান সামগ্রী সরবরাহ করছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারী খরচে নির্মান সামগ্রী পরিবহনের কথা থাকলেও কথিত ঠিকাদার পরিবহন ভাড়ার টাকা প্রদানে বাধ্য করছেন গৃহহীন পরিবার গুলোকে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা শরণখোলা উপজেলায় দু’দফায় ৬৭২ টি ঘর হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ঘর নির্মানে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নিম্মমানের ইট,বালু, সিমেন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিকে জানতে চাইলে ঘরে ৯৮% কাজ সম্পন্ন করার কথা জানান তিনি। অন্যদিকে সরেজমিনে দেখা যায় ৪০% কাজও সম্পন্ন হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হাসানুজ্জামান পারভেজ বলেন, প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত এ প্রকল্প নিয়ে রিতিমত হরিলুট চলছে। যাচাই-বাছাই ছাড়া ঘর বরাদ্দের তালিকায় প্রকৃত দরিদ্ররা অনেকেই বাদ পড়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত কতিপয় অসাধু ব্যক্তির কারণে প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে।
ধান সাগর ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মোঃ মাঈনুল হোসেন টিপু বলেন আমার ইউনিয়নে ঘর বরাদ্দের বিষয়টি আমার জানা নেই। রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, হতদরিদ্রদের মাঝে ঘর উপহার দেয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর একটি মহোতি উদ্যোগ। যারা ঘর নির্মানে অনিয়ম ও দুনির্তির আশ্রয় নিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বাগেরহাট ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এই প্রকল্পের কাজে এক প্রকার হরিলুট চলছে। এ ঘটনার সাথে উপজেলার সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তি জড়িত বলে ও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করে দায়ী সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে আলাপকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা নাই।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here