গোপালগঞ্জে ফুলের স্নিগ্ধতায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন

0
348

এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রুপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন। তবে এ ভালোবাসা কেবলি তরুণ-তরুণীর নয়। যেমন বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষের প্রতিও মানুষের। তাই ভালোবাসা নিয়ে ছড়িয়ে থাকা পৌরাণিক সব উপাখ্যান ভুলে সবাই মিশেছে একই মোহনায়। ফুলের স্নিগ্ধতায় ভালোবাসা ও অনুরাগে বৃহস্পতিবার দিবসটি উদযাপন করা হয় গোপালগঞ্জে।
সাধারণত বছরের এই বিশেষ দিনটিকেই অনেকে বেছে রাখেন মনের যত বাসনা ও অব্যক্ত কথা প্রকাশের জন্য। তাই বসন্তের মৃদু-মন্দ হাওয়ায় না বলা কথাগুলো আজ তাদের মধ্যে ডালপালা মেলছে। প্রিয়জনের হাতে রক্তরাঙা গোলাপ দিয়ে বলছেন মনের গহীনে জমানো কথাগুলো। সে জন্য সকাল থেকে গোপালগঞ্জ শহরের ফুলের দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণীদের উপচে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভালোবাসার উৎসবে মুখর হয়ে উঠে ছিলো গোটা গোপালগঞ্জ শহর। উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে গ্রাম-বাংলার জনজীবনেও। মোবাইল মেসেজ, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে পুঞ্জ পুঞ্জ ভালোবাসার কথা পরিস্ফুটিত হচ্ছে। কেক, চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, এসএমএস, এমএমএস, প্রিয় পোশাক, খেলনা মার্জার অথবা বই উপহার দিয়েছে প্রিয়জনকে। তাই সকাল থেকে গোপালগঞ্জ শহরের উপহার সামগ্রীর দোকান গুলোর বিকিকিনিও জমে উঠে ছিলো।
বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, লেকপাড়, চাপাইল ব্রিজ, বিশ^রোডসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়িয়েছে বিনোদন প্রেমীরা। ভালোবাসা দিবস তো সবার! তাদের অভিব্যক্তি তাই বলে! কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ প্রিয়তম, কেউ আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছিলেন এসব স্থানে। বেলা যত গড়াতে থাকে ততই যেন ভিড় বাড়তে থাকে।
চাপাইল ব্রিজে ফুচকা ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, সকাল থেকেই তার বেচাকেনা জমে উঠেছিল। তবে বিকেলে আরও বেশি মানুষ এখানে বেড়াতে এসেছিল। তখন তার ব্যবসা পুরোদমে জমে উঠে ছিলো। পয়লা ফাল্গুনে চার হাজার টাকার ফুচকা বিক্রি করেছেন তিনি। ভালোবাসা দিবসে তা ছাড়িয়ে গেছে বলেও জানান ওই ফুচকা ব্যবসায়ী।
শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনের এলাকার ফুল ব্যবসায়ী মিথুন জানান, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে লাল গোলাপের চাহিদাই বেশি। তবে গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলও বিক্রি হয়েছে প্রচুর। এছাড়া বিভিন্ন ফুলের সংমিশ্রণে তৈরি করা ফ্লাওয়ার রিং বেশি বিক্রি হয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাই তাদের প্রধান ক্রেতা।
তবে তরুণ-তরণী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষও এসেছিলেন ফুল কিনতে। সব ফুলের দাম আগের মতোই আছে। শুধু গোলাপের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আনন্দের মুহূর্তে কেউ আর দাম নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বলে জানান এই ফুল ব্যবসায়ী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here