গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পাটের তৈরি হস্ত শিল্পের পন্য বিদেশে রপ্তানী করে লাভবান হত দরিদ্র মহিলারা

0
242

হেমন্ত বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রামে পাটের তৈরি পন্য বিদেশে রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছে হত দরিদ্র পরিবার গুলো। তাদের ওই পন্য একটি বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি বলে জানা যায়।
সরোজমিন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ১৯৭১সালের পূর্ববতী সময়ে বাংলাদেশে ফাদার জনা আবৃত্তী নামে একজন আমেরিকান প্রবাসী এ দেশে আসেন। তখন থেকে এ দেশের হত দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে ১৯৭৮ সালে পাট হস্ত শিল্পের উপর অসহায় ও দরীদ্র মহিলাদের প্রশিক্ষন দেন। তখন থেকে গুটি গুটি পায়ে মহিলাদের পাটহস্ত শিল্পে পথচলা শুরু হয়। জনা আবৃত্তী বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, মংলা, মুজিবনগর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরাসহ আরো অনেক জেলায় এই হস্ত শিল্পের কাজের প্রতিষ্ঠা করে জান। এছাড়াও তিনি এনজিও ভিত্তিক স্কুল, হোস্টেল, এবং দরিদ্র ভুমিহীন পরিবারের খাওয়া ও থাকার সুব্যাবস্থা করে যান।
কলিগ্রামের পাট হস্তশিল্প সভানেত্রী মেরী বাড়ৈ বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে আমরা এই পাট হস্ত শিল্প কাজ করি। আমাদের এখানে প্রায় ৩০জন মহিলা এই কাজ করে তাদেও জীবিকা নির্বাহ করেন। কাঁচা পাট দিয়ে বেনি করে পাটের বিভিন্ন জিনিস তৈরি করি। এর মধ্যে ডিনার সেট, বাক্সেট বক্স, ভেনিটি ব্যাগ, ফিকা, পুতুল, জেব্রা, ভেড়া, দোলনাসহ আরো অনেক কিছু তৈরী করে। বেজ বাংলাদেশ (ইধংব ইধহমষধফবংয) নামে একটি বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে আমাদের তৈরি এই পন্য ক্রয় করে বিদেশে পাঠানো হয়। ওই সংস্থা আমাদের পন্যের অর্ডার দেয় এবং সেই পন্য আমরা তৈরি করে যথা সময়ে সরবরাহ করি।
তিনি আরোও বলেন, বিদেশী সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার আমাদের একটু সাহায্য করলে আরো অনেক দরিদ্র পরিবার এ প্রশিক্ষন নিয়ে সাবলম্বী হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে সাতপাড় সরকারি নজরুল ইসলাম কলেজের প্রভাষক আশীষ কুমার বাকচী বলেন, সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে অবশ্যই পাট শিল্পের দিকে সরকারের নজর দিতে হবে। পলিথিন বন্ধের একমাত্র উপায় পাটের উপর ঝুকে পড়া। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে আমাদের অবশ্যই পাট শিল্পের দিকে নজর দিতে হবে তাহলে এ দেশের কৃষকরাও উপকৃত হবে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here