গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় আটক-২

0
260

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় নারী-পুরুষ ২ জনকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
বিলম্বে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, গত ২১ জুন দিবাগত রাত ৯ টায় উপজেলার আটাশিবাড়ী গ্রামের প্রবাসী দেবাশীষ বাড়ৈর স্ত্রী সাথী বাড়ৈর (২৮) সাথে দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে আসার সুবাদে, কলাবাড়ী গ্রামের বুদ্ধিমন্ড মজুমদারের মাছ ব্যবসায়ী ছেলে বিনয় মজুমদার (৩০) সাথী বাড়ৈর ঘরে ঢুকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এ সময় দেবাশীষ বাড়ৈর বৃদ্ধা মা বলাকা বাড়ৈ (৯৯) টের পেয়ে চোর এসেছে বলে চিৎকার দিলে লম্পট বিনয় মজুমদার তাকে লাথি মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন প্রতিবেশীরা তাকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে নারী-পুরুষ দুজনকেই ভাঙ্গারহাট ফাঁড়ী পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে লম্পট বিনয় মজুমদার ও সাথী বাড়ৈ সাংবাদিকদের জানান, তাদের বাড়ী একই গ্রামে হওয়ায় ছোট বেলা থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরে সাথী বাড়ৈর বাবা কলাবাড়ী-রামনগর গ্রামের ননি বাড়ৈ মেয়েকে আটাশীবাড়ী গ্রামের দেবাশীষ বাড়ৈর সাথে বিয়ে দেন। দুই সন্তানের জননী সাথী বাড়ৈর স্বামী প্রবাসে থেকে এ সব কার্যকলাপ জানতে পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ সুযোগে ৩ সন্তানের জনক ছোট বেলার প্রেমিক বিনয় মজুমদারের সাথে সাথী বাড়ৈ অবৈধ সর্ম্পক চালিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে সাথী বাড়ৈর মেয়ে পূর্নিমা বাড়ৈ (১০) ও ছেলে (৭) জানায়, বিনয় মজুমদারকে আমরা মামা ডাকি, সে প্রায়ই রাতের আধারে চুপে-চুপে আমাদের ঘরে আসে।
অন্যদিকে প্রতিবেশী-শিক্ষক সুশিল বাবু, সুমি বাড়ৈ, শাহাদৎ হোসেন, সত্যজিত রায়, ফায়েক খন্দকার, তোতন কর্মকার, রতন বাড়ৈ, সুখরঞ্জনসহ এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু দিন আগেও এহেন কার্যকলাপের কারনে এই দুজনকে সামাজিক ভাবে বিচার শালিসীর মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এই অবৈধ সম্পকের্র খবর শুনে দেবাশীষ পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখে না।
দেবাশীষ বাড়ৈর বৃদ্ধা মা-সাথী বাড়ৈর শাশুড়ী বলাকা বাড়ৈ বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত ওরা দুজনে এই অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। আমি বাধা দেওয়ায় পুত্র বধু আমাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল। আজকে আবার আমি টের পাওয়ায় ওই লম্পট বিনয় মজুমদার আমাকে দুইটা লাথি মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন প্রতিবেশীরা তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।
ঘটনার পর ভাঙ্গারহাট ফাঁড়ির এস আই আলী আকবর মাতুব্বর সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে সাথী বাড়ৈর দুই নাবালোক সন্তানকে তার আত্মীয়র হেফাজতে রেখে লম্পট সাথী বাড়ৈ ও বিনয় মজুমদারকে ভাঙ্গারহাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এবং তাদেরকে ২২ জুন গোপালগঞ্জ কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে এস আই আলী আকবর মাতুব্বর জানান, বিনয় মজুমদারের কাছে থাকা নগদ ২৩ হাজার ৬০ টাকা এলাকার চৌকিদার নরত্তমের কাছে এলাকাবাসী জমা দেয়। পরে ২২ জুন ২০১৮ ইং তারিখ সকালে বিনয় মজুমদারের স্ত্রীর কাছে ২৩ হাজার ৬০ টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-১, তাং- ২২/০৬/২০১৮ইং।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here