এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল নায়েবুন্নেছা গার্লস হাই স্কুলে দীর্ঘ ৬৬ বছরেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি বর্তমানে অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
এক একর তিন শতক জমির উপর ৭টি রুম বিশিষ্ট জরাজীর্ণ টিনের তৈরি একটি ঘরে এ বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহন করছে। মাঝে মাঝে কাঠ ও টিন ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা কবলিত হয় শিক্ষার্থীরা। ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন এ স্কুলটিতে। প্রতিবছর শতভাগ ফলাফল অর্জন করে আসছে এই বিদ্যালয়টি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র ভক্ত (ভারপ্রাপ্ত) জানান, বিগত ৬৬ বছরে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ম অনুযায়ী যে বরাদ্দ রয়েছে তার তেমন কোন বরাদ্দ না পাওয়ায় বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বসার বেঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দো’চালা টিনের ঘর জরাজীর্ণ বিধায় বৃষ্টি আসলেই পানিতে ভিজতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। দরজা-জানালা সবই ভাঙ্গা। দেওয়ালটা অনেক দিন হয় ভেঙ্গে পড়ে আছে। টয়লেটের অবস্থা আরো করুন। রাস্তা থেকে খোলা মেলা সব দেখা যায়। ১৯৫৩ সালে আলহাজ খান বাহাদুর শামসুদ্দোহা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের সংস্কার করা খুবই জরুরী।
এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী।
খবর৭১/ইঃ