গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা মূল্যের চাল ৩০ কেজির স্থলে ২৭ কেজি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ফলে এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মোশারফ হোসেন ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জানা গেছে, উপজেলার বাথানডাঙ্গা বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হয়। এ কর্মসূচির সুবিধা ভোগীদের জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও ওজনে কারচুপি করে ২৭ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। এ সময় চাল বিতরণের স্থানে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ কর্মকর্তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিনকে পাওয়া যায়নি। পরে অনিয়মের খবর পেয়ে ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন এবং মহেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল কমের সত্যতা যাচাইয়ের ৮ থেকে ১০ কার্ডধারীর চাল পরিমাপ করে ২ থেকে ৩ কেজি করে চাল কম পান। পরে তাদের ৩ কেজি করে চাল দিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
উপজেলার ডহরদূর্গাপুর গ্রামের লায়েক শেখ, তাসুদ শেখ ও নাজমুল শেখসহ একাধিক সুবিধাভোগী অভিযোগ করে জানান, চালের ডিলার মোশারফ হোসেন ৩০ কেজির কথা বলে তাদের ২৭ কেজি করে দিয়েছেন। অথচ তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজি চালের টাকা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মহেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল মেপে ২৭ কেজি বা তার একটু বেশি পেয়েছি। কার্ডধারীদের ঘাটতি চাল পূরণ করে দিয়েছি।
চালের ডিলার মো: মোশারফ হোসেন ওজনে চাল কম হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, চাল মাপার কাটায় (বাটখারা) একটু সমস্যা থাকার কারণে চাল কম হয়েছে। পরে সেটা ঠিক করে সঠিক ভাবে পরিমাপ করে চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, চাল বিতরণে অনিয়মের কথা শুনেছি এবং তাৎক্ষণিক ট্যাগ অফিসার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিনকে সরেজমিন পাঠিয়েছি। এর আগেও অনিয়মের কারণে মোশারফ হোসেনের ডিলার বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু এমপি মহোদয়ের অনুরোধে তা আবার বহাল রাখা হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ