খবর ৭১ঃ রাজধানীর মিরপুরের একটি বাড়িতে গুপ্তধন আছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে মাটি খুঁড়ে ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গুপ্তধনের সন্ধান চালাচ্ছে মিরপুর থানা পুলিশ।
রবিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামানের নেতৃত্বে ফের ২০ শ্রমিক বাড়িতে খোঁড়া শুরু করেন।
গত এক সপ্তাহে মিরপুরে গুঞ্জন ছড়ায়, ওই একতলা বাড়ির মাটির নিচে লুকানো রয়েছে ‘গুপ্তধন’। স্বর্ণালঙ্কার ও দামি নানান জিনিসপত্র সেখানে রয়েছে। গুঞ্জনের পালে হাওয়া লাগে যখন আবার পুলিশ দিনরাত বাড়িটি পাহারা দেওয়া শুরু করে।
বাড়িতে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা জানিয়ে বাড়িটির বর্তমান মালিক মনিরুল জিডিতে উল্লেখ করেন, যদি গুপ্তধন পাওয়া যায়, তাহলে তা বেওয়ারিশ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া যদি সত্যি সেখানে কোনো গুপ্তধন পাওয়া যায়, তবে তা বেওয়ারিশ সম্পত্তি হিসেবে আইন মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সকালে ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেখানে মাটি খনন শুরু হয়।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয় তখন এই বাড়িটা ছিল জল্লাদখানা। এই বাড়ির মূল যে অধিবাসী ছিলেন তিনি পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তারই এক আত্মীয় এসে কিছুদিন আগে আমাদের কাছে ‘গুপ্তধন’ থাকার থাকার তথ্য দেন।
বাড়িটির মূল তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, আড়াই বছর ধরে বাড়ির মূল মালিকের সঙ্গে তার দেখা নেই। শহীদুল্লাহ নামে মালিকের এক ঘনিষ্ঠ লোকের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখেন। বাড়ির ভালোমন্দ সব কিছু তাকে জানান। টিনের চালা নষ্ট হয়ে পড়ায় বছরখানেক ধরে কোনো ভাড়াটিয়া নেই। বাড়িটি মালিক ঠিকঠাকও করেননি।
এর আগে গুপ্তধনের সন্ধানে গতকাল ২১ জুলাই সকাল ১০টা থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় ধরে খননকাজ চালানো হয় বাড়ির নিচে। অনেক খোঁড়াখুঁড়ি করে কোন গুপ্তধনের সন্ধান মেলেনি সেখানে। এরপরই বিকেল চারটা থেকে খননকাজ বন্ধ করা হয়।