আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় আদিবাসী- বাঙ্গালী ও যুব মিলন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘অধিকার ও সংস্কৃৃতি রক্ষায়- আদিবাসী-বাঙ্গালী মিলি একতায়’ -এই স্লোগানের আলোকে আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। আদিবাসী যুব নেত্রী প্রিসিলা মুর্মুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। মিলনমেলা উদযাপন কমিটি ও অবলম্বন নামের সংগঠন এই মেলার আয়োজন করে। প্রধান অতিথি সুলতানা কামাল বলেন, প্রকৃতি বা সৃষ্টিকর্তা বৈষম্য সৃষ্টি করেন নি। সকল বৈষম্য মানুষের সৃষ্টি। আমরা মানুষের তৈরি বৈষম্য দুর করতে চাই। এজন্য সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। তিনি বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়াকে আইনে পরিণত করার দাবী জানান। আদিবাসী নেতারা বলেন, তাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্য, সামাজিক রীতি-নীতি ও আচার-অনুষ্ঠান ক্রমশঃ হারিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান তো নেই-ই। এমনকি, তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পাদনের জন্য কোন মিলনায়তন বা মিলন স্থান আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কৃষ্টি সংরক্ষণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা রয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, সাহেবগঞ্জ ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, আদিবাসী নেতা গৌড় চন্দ্র পাহাড়ী, অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী যুব মিলনমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মাইকেল মার্ডি, অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
খবর৭১/এসঃ