খবর৭১: কালবৈশাখী মাঝে মাঝে এসে ঠাণ্ডা করে দিলেও গা পুড়িয়ে দেয়া গরমটা কিন্তু এসে গেছে।
বর্ষা না আসা পর্যন্ত গরম থেকে নিস্তার নেই। অতএব নজর দিন প্রতিদিনের খাবারে।
প্রত্যেকটা মৌসুমে শরীরের চাহিদা আলাদা। সেই অনুযায়ী শরীরকে খাবার আর পানীয়ের জোগান দিতে হবে।
গরমকালের খাবারের প্রধান শর্ত, শরীরকে আর্দ্র রাখা। বারবার চা-কফি খাওয়া কমিয়ে ফেলুন।
যারা রোদের মধ্যে কলেজে কিংবা অফিসে বের হন, তাদের ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অনেকটা লবণ আর পানি বেরিয়ে যায়।
ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স আটকাতে বেশি করে এমন ফল খান, যাতে জলীয় পরিমাণ বেশি থাকে।
সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন আর মিনারেলের জোগান রাখাটা জরুরি।
শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সারাদিনে বারবার লেবু, লবণ, চিনি দেয়া সরবতে চুমুক দিন। ডাবের পানি কিংবা দই আর লেবু মিশিয়ে ঘোল বানিয়ে খেতে পারেন।
তরমুজ, নাসপাতি, কাঁচা আম, আঙুর, শসা, পেঁপে, লাউ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে।
গরমে পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে হজমের সমস্যা। সহজ সমাধান, রোজ খাওয়ার শেষ পাতে দই রাখুন। একগাদা চিনি দিয়ে নয়, পারলে অল্প নুন ছড়িয়ে দইটা খেতে পারেন।
পুরো গ্রীষ্মে খাদ্য তালিকায় প্রোটিন আর ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। মাছ-মাংস-ডিম খাওয়ার পরিমাণ কমান। সপ্তাহে একাধিক দিন হালকা নিরামিষ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাবেন না। বাজারচলতি ঠাণ্ডা পানীয়ের আর্টিফিশিয়াল সুগার শরীরের পক্ষে ভালো নয়।
ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেই বরফ ঠাণ্ডা জল খেয়ে নেবেন না। আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংকস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
দই-চিঁড়ে, দই-মুড়ি-কলা ইত্যাদি রাখতে পারেন সকালের খাবারের তালিকায়। শরীর ঠাণ্ডা থাকবে। দুপুরে খাওয়ার কিছু সময় পর অল্প করে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
তবে রাস্তা থেকে কাটা ফল খাবেন না।
দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি খাবেন। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। দিনে অন্তত দুবার ডাবের পানি খেতে পারলে ভালো।
এনার্জি ফিরে পেতে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। তবে খেয়াল রাখবেন, তার বেশিরভাগটাই যেন আসে জলীয় মাধ্যমে। অর্থাৎ ফলের রস কিংবা গ্লুকোজ হিসেবে।
দুধ হজম হওয়া কঠিন। কিন্তু দই হল গরমকালের সেরা দাওয়াই। দইয়ের ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া হজমে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের চাহিদাও মেটায়। ই-বেলা অনলাইন।
খবর৭১/জি: