খবর৭১: ফাগুনের মাতাল হাওয়া প্রকৃতিকে রোমাঞ্চকর করে তুললেন এখন ভরা চৈত্র। এই সময়টায় হঠাৎ প্রচণ্ড গরমে নাভিঃশ্বাস উঠেছে নাগরিক জীবন। আর এই দাবদাহে সবচেয়ে ক্ষতি হয় ত্বকে। আর মাত্র ক’দিন বাদেই শুরু হবে গ্রীষ্মকাল। তাই পুরোদমে গরম জেঁকে বসার আগেই সতর্ক হতে হবে ত্বকের ব্যাপারে।
গরমে মূলত প্রচণ্ড তাপ ও ধুলোবালির কারণে ত্বকে তৈলাক্ত ভাবটা বেশিই দেখা যায়। ফলে তৈলাক্ত ত্বক নিমেষেই শরীরের সতেজতা নষ্ট করে। বারবার পানিতে মুখ ধুলেও পরক্ষণেই আবার তেলতেলে দেখায় নাক-মুখ। গরমে ঘেমে তৈলাক্ত ত্বক একদম মলিন হয়ে পড়ে। এসময় তৈলাক্ত ত্বকের গ্রন্থিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে ত্বক তেলতেলে হয়। এতে মুখে প্রচুর পরিমাণে ব্রণও উঠে।
তবে যেকেউ চাইলে একটু নজর দিয়েই এই সমস্যাগুলো সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারেন। আর সেটি বাড়িতে বসেই করা সম্ভব। এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে। নিচে সেরকমই কিছু টিপস দেয়া হলো।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পানি আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে। ডাক্তারদের মতে, প্রতিদিন আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা শরীরের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া মুখে ঘন ঘন পানির ঝাপটা দিন।
শশার রস: তৈলাক্তভাব দূর করতে শসা খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে তৈলাক্তভাব অনেকটা দূর হবে।
কলা: কলা ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করায় বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এজন্য একটা পাকা কলার পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ম্যাসেজ করতে পারেন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এই পেস্ট রাতে লাগাতে পারেন।
লেবুর রস: লেবুর রস তৈলাক্তভাব দূর করে। কয়েক ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামুচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
চালের গুঁড়া: চালের গুঁড়াতে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে দুইদিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে।
গ্রিন টি: ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে গ্রিন টি বেশ উপকারী। এই গ্রিন টি দিয়ে সহজেই একটি মাস্ক আপনি তৈরি করে নিতে পারেন মুখে মাখার জন্য। দুই টেবিল চামচ গ্রিন টির সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ও এক চা চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ধুরে ফেলুন। তার পর আয়নার সামনে দাঁড়ান। দেখবেন আপনাকেই সবচেয়ে বেশি সতেজ ও কোমল দেখাবে। নিজেই সৌন্দর্যের প্রতি আত্মবিশ্বাসও বাড়বে তাতে।
খবর৭১/এস: