গণধর্ষণের শিকার ২ নারী, কৌশলে ৭ ধর্ষক আটক

0
559
গণধর্ষণের শিকার ২ নারী, কৌশলে ৭ ধর্ষক আটক

খবর৭১ঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দেওরাছড়া চা বাগান এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুইজন নারী। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে। ওই দুই নারী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশের তথ্য প্রাপ্তির ৬ ঘণ্টার মধ্যে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- মৌলভীবাজারের শ্রীগোবিন্দপুরের সিরাজুর ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), আকলু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৭), মফিজ উদ্দীনের ছেলে ইউসুফ আলী (৩৫), নিতেশ্বর গ্রামের কমরু মিয়ার ছেলে সলিম মিয়া (২৬), কমলগঞ্জের দেওরাছড়া চা বাগানের সবুজ উরাংয়ের ছেলে রবিলাল উরাং (২০), নিতাই মুন্ডার ছেলে বিকাশ মুন্ডা (২৩), কুরবান আলীর ছেলে আবু সুফিয়ান বাবুল (৪৫)।

স্থানীয়, পুলিশ সূত্রে এবং গণধর্ষণের শিকার দুই নারীর জবানবন্দিতে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ৮টা দিকে ওই দুই নারী সিএনজি অটোরিকশাতে মৌলভীবাজার থেকে কমলগঞ্জ যাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে ৩ বছরের একটি শিশু ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর আরও ২ জন যাত্রীকে গাড়িতে তোলেন চালক। পরে এক নির্জন জায়গায় গাড়ি থামানো হয়। এখানে ছিল আরও ৭ থেকে ৮ জন। এ সময় এক নারীকে ৭ জন এবং অন্য নারীকে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে। মারধর করা হয় ওই শিশুটিকে। ওই নারীদের একজনের বয়স ২৮ অন্যজনের ২৪।

নির্যাতন শেষে ওই দুই নারী কৌশলে ওই সিএনজি অটোরিকাশার চালককে নিয়ে কৌশলে কমলগঞ্জ রওনা দেন। পথে রহিমপুর ইউনিয়নের বাবুরবাজারে এলে গাড়ি থামিয়ে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় গাড়ি রেখেই পালিয়ে যান অটোরিকশার চালক। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।

রহিমপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন মেম্বার আব্দুল মজিদ খান জানান, আমার দোকানে ঢুকে তারা অভিযোগ দেয় এ সময় চালক পালিয়ে যায়। জেনেছি তার নাম ইউসুফ মিয়া, বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বনশ্রীতে। পরে তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মী এবং পুলিশকে জানান।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here