খবর৭১:বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনার পিস্তল রহস্য জানেন না খোদ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর আলী। ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা ওই যুবকের হাতে যে পিস্তলটি ছিলো সেটা খেলনা নাকি অস্ত্র তা এখনও নিশ্চিত নই। তদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে সিসিটিভি দেখে বোঝা গেছে যে ওই যাত্রীর চেকিংয়ে পিস্তল সাদৃশ্য কোনো বস্তু ধরা পড়েনি। গুলিবিনিময় হয়েছে কিনা তাও নিশ্চিত নই।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর আলী বলেন, ‘ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা বিমানটি স্বাভাবিক যাত্রা বিরতি জন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ল্যান্ডিং করেছিলো। এটা কোনো ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং ছিল না। আকাশ থেকেই পাইলট বিমান ছিনতাইয়ের বিষয়টি আন্দাজ করতে পারে। পরে তিনি বিমানবন্দরের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ম্যানেজার বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবহিত করেন।’
অভিযানের সময় বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়হীনতা ছিলো কিনা গণমাধ্যমকর্মীদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘না কোনো সমনন্বয়হীনতা ছিলো এরকম ঠিক না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর ঘটনা নিয়ে অস্পষ্টতা এখনো কাটেনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করে কোনো রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আমরা এ অবস্থা থেকে উদ্ধার হতে পেরেছি। কী হয়েছে আর কী হয় নাই-সেটা তো আমরা নিজেরা দেখিনি। তবে বিষয়টিতে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্তে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এত নিরাপত্তা ধাপ পেরিয়ে কীভাবে ছিনতাইকারী বিমানে উঠেছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানবন্দরের সব নিরাপত্তা ধাপ পার করেই সে বিমানে উঠে। অন্যদের মতো তাকেও স্ক্যান করা হয়েছে। তার ব্যাগেরও স্ক্যান হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো লাল বাতি জ্বলেনি। ফলে বোঝা যায়নি তার কাছে কী আছে।’
এদিকে ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) র্যাবের পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, অপরাধীদের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী ওই ব্যক্তির নাম মো. পলাশ আহমেদ। তাঁর বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরিজপুরে তাঁর বাড়ি। এ ছাড়া ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটির (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, পলাশ আহমেদ অভ্যন্তরীণ রুটের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যাত্রী ছিলেন। তাঁর নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সিট নম্বর ১৭এ।
খবর৭১/জি