ক্যাসিনো ইস্যুঃ খালেদ আবার রিমান্ডে

0
799
খালেদ আবার রিমান্ডে

খবর৭১ঃ

যুবলীগের আলোচিত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে দুই মামলায় আবার সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সদ্য বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পৃথকভাবে মতিঝিল থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পৃথকভাবে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সূত্র জানায়, মতিঝিল থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২৯ সেপ্টেম্বর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। তখন খালেদ গুলশান থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় শুনানি হয়নি। আদালত ওইসব মামলায় রিমান্ড থেকে ফেরত আনার পর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। দশ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার খালেদকে আদালতে হাজির করা হয়।

মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি বেলায়েত হোসেন আবেদনে উল্লেখ করেন, আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান থানার অস্ত্র মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে তার গুলশান বাসা তল্লাশি করে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তখন খালেদ জানান মতিঝিলের ইস্টার্ন কমলাপুর কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে ভূইয়া গ্রুপের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাক্ষীদের সম্মুখে তার অফিসের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি চালান। অফিসটি থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা, দেশি ও বিদেশি বিয়ার, সিসা ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আসামির দখলে বিপুল পরিমান সিসা, বিদেশি মদ ও ইয়াবা মজুদ আছে। তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। মামলাটি মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়ার আদালতে শুনানি হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে গুলশান থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় রিমান্ড চায় সিআইডি। মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে খালেদকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। অস্ত্র,মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দের পর র‌্যাব খালেদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনিট মামলা করে। পরে মতিঝিলে অফিস থেকে মাদক উদ্ধারের মামলায় মতিঝিল থানায়ও মামলা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here