খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন গণআন্দোলনে: আমান

0
207

খবর৭১: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে অন্যথায় বৃহত্তর গণআন্দোলনেরর মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান।

খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা হলেন কিভাবে?- গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এমন বক্তব্যে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ২৪ মার্চ যখন স্বৈরাচার এরশাদ গণতান্ত্রিক সরকারকে বন্দুকের নলের ডগায় হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন কায়েম করে তখন আজকের প্রধানমন্ত্রী তিনি তখন দেশে সামরিক আইনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আই এম নট আন হ্যাপি। তার মানে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গণতন্ত্র চাননি। তিনি স্বৈরশাসন চেয়েছিলেন।

বুধবার (১৬ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির ৩য় তলার স্বাধীনতা হলে এক যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনার অধিনে দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না। হতে দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। বর্তমান সরকারের এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, বেগম খালেদা জিয়া যখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাশাপাশি শেখ হাসিনাও বাধ্য হয়েছিলেন সেই গণতান্ত্রিক অন্দোলনে অংশ নিতে। তিনি এসেছিলেন কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে বার বার বেইমানি করেছেন। চট্টগ্রাম লাল দিঘীর ময়দান থেকে আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান। সেই শেখ হাসিনাই মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা এসে রাতের অন্ধকারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বইয়ের ভাষায় এরশাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে গিয়ে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে গিয়েছিলেন এবং সেদিন তিনি গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়াকেও দেশী বিদেশী সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন এরশাদের অধীনে আপনি কি নির্বাচনে যাবেন? তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে। তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে আমি বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে যাব না।’

গতকাল খুলনায় অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, খুসিক নির্বাচন একটি প্রহসনের নির্বাচন। একদলীয় শাসনের নির্বাচন। এ নির্বাচন হয়েছে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের মত।

খুসিক নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এ নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হত তাহলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করত। তাই এ নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করি। নতুন করে আবার নির্বাচন দিতে হবে এবং সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তার জ্বলন্ত প্রমাণ খুলনার নির্বাচন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, সাইফুদ্দিন মনি, শহীদুল ইসলাম বাবুল, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান আসাদ, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here