খবর ৭১ঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার পর এবার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাত বছরে সাজা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। সেইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া হাসপাতালে, রায় পড়ছেন বিচারক।
আদালত ঘিরে কড়া নিরাপত্তা।
মামলার অন্য তিন আসামিকেও একই সাজা ও জরিমানা করেন আদালত। এ সময় আদালতে খালেদা জিয়ার কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে সকালের দিকে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলার বিচার কাজ চলমান রাখার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা লিভ টু আপিল খারিজ করেন আদালত।
সকাল ৯টার পর কার্যদিবসের শুরুতেই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, খালেদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর পুরনো কারাগারে স্থাপিত আদালত হুইল চেয়ারে হাজির করা হয় বিএনপি প্রধানকে। এসময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার পা ফুলে গেছে। বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। ডাক্তার বলেছে, পা ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। এখানে আমি আদালতে বারবার আসতে পারবো না। আপনাদের যা মনে চায়, যতদিন ইচ্ছা সাজা দিয়ে দিন।’
খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও প্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান তারা কারাগারে আছেন।
আর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।