খবর৭১:ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনি আর একটা সংলাপ ডাকেন। আর সেখানে পরিষ্কার করে বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে কোন প্রতিবন্ধকতা করবেন না। পরিষ্কার করে বলে দেন, এদিকে কোন নাক গলাবেন না।
তিনি আরও বলেন, বিচারকে বিচারের মত চলতে দেন। তারপরে দেখি, খালেদা জিয়ার মুক্তি হয় কি না।
শনিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের ১৮০০ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভারতে ট্রেনিং নিবে। কি নিবে? যে দেশে দুধের চেয়ে গো মূত্রের দাম বেশি। সে দেশ থেকে কি শিখবে। তারা তো আমার দেশের গণতন্ত্র মুক্তির কথা বলে না। আসলে দেশের গণতন্ত্রকে আমাদেরকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। আর তা করতে হলে ভারতের যে চক্রান্ত, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর এটা কোনো সহজ কাজ নয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দের বারবার বলে আসছি। গতকালকেও প্রস্তাব করেছি, আপনাদেরকে রাস্তায় থাকতে হবে। দেশে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন আর প্রেস ক্লাবে হাতি ঘোড়া মারলে হবে না।
তিনি বলেন, আমি খুশি হতাম বিএনপির ১ হাজার মহিলা নেত্রী যদি আজকে দুই ঘন্টার জন্য রাস্তায় বসে থাকতো। তারপরে ৫০টা ট্রাক নিয়ে সারা ঢাকা শহরে ঘুরতো। আর একটা শ্লোগান দিত ‘গণতন্ত্র চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’। এটা করতে পারলেই দেশে সুশাসন আসবে। সুশাসন ছাড়া বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে না।
এ সময় তিনি তারেক রহমানের উদ্দেশে বলেন, আপনি আপনার দলের মিটিং অবশ্যই করবেন। তবে আপনাদের সিনিয়র নেতাদেরকে সঙ্গে নিয়ে করবেন। ভুলভ্রান্তি সবারই হয়। তবে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে ধৈর্য ধরতে হয়। তাড়াহুড়া করবেন না। আপনার দিকে অনেকেই চেয়ে আছে। আপনার সঠিক সিদ্ধান্তে আন্দোলন গড়ে উঠবে। আর আন্দোলন গড়ে না উঠলে সহজে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে না।
খবর৭১/জি