খালেদা জিয়ার মামলা স্থানান্তরের পেছনে রাজনীতি নেই: আইনমন্ত্রী

0
309

খবর ৭১:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নয় বরং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘এখানে কোনও রাজনীতি নেই।’

সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার সাবরিনা আক্তারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও ১৪টি মামলার কার্যক্রম বকশীবাজারের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তরের বিষয়ে আজ  সোমবার (৮ জানুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দুটি বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে আগে থেকেই চলছে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে ১৬টি মামলায় হাজিরা দিতে বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আসতে হবে খালেদা জিয়াকে।

জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৪টি মামলার মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ৯টি, বিশেষ জজ আদালতের তিনটি ও ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের দুইটি মামলার বিচারকাজ বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে চলবে। মামলাগুলোর মধ্যে দুর্নীতির তিনটি মামলা ২০০৬-২০০৮ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা। বাকি মামলাগুলোর মধ্যে ১০টি মামলা ২০১৫ সালে ও একটি ২০১৬ সালে দায়ের করা।

আইনমন্ত্রীর কাছে এই প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।এসব মামলার বিচার কার্যক্রম চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই ভবনে বহুসংখ্যক আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তাই আদালত চলাকালে এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে। তাই বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সরকার আদালত স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখানে কোনও রাজনীতি নেই।’

আইন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনেও জানানো হয়, এসব মামলার বিচার কার্যক্রম চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। ওই ভবনে বহুসংখ্যক আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় আদালত চলাকালে এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে কোর্ট অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর সেকশন ১১-এর সাব সেকশনে (২-এ) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার মহানগর হাকিম আদালত নম্বর ৭-এর এই মামলাটির বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার ভবনটি অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এসময় টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি মইনুদ্দীন খান ও আশরাফুজ্জামানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে স্পিকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here