খবর৭১ঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া কারাগারে যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তা উপমহাদেশের আর কোনও বন্দি পাননি। তাকে উন্নতমানের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। গৃহকর্মী ফাতেমাকে তার সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে।’ শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ছয় দফা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছয় দফা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন, “খালেদা জিয়া অসুস্থ। কিছু খেতে পারছেন না, কোমর ব্যথায় নড়তে পারছেন না।” বিএনপির রাজনীতি খালেদা জিয়ার হাঁটু আর কোমর ব্যথায় আটকে আছে।’
তিনি বিএনপিকে এমন রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই কোমর ব্যথা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। জিহ্বায় কামড় খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে কিছু খেতে পারেননি তিনি। এটি সবারই হয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস পড়তে হবে, ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়ে জানতে হবে। রাজনীতি করতে হলে ইতিহাস পড়া ও জানার কোনও বিকল্প নেই। স্লোগানের রাজনীতি দিয়ে বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া যাবে না। পূর্ববর্তী নেতারা কীভাবে রাজনীতি করেছেন তা অনুসরণ করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পর্কে জানতে হবে। ছয় দফা সম্পর্কে জানতে হবে। এই ছয় দফা ঘোষণার মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘রাজনীতি সম্পর্কে জানতে হবে– কেন, কার জন্য রাজনীতি করব? ত্যাগের রাজনীতি করলে মানুষের আস্থা অর্জন করা যাবে। আর ভোগের রাজনীতি করলে মানুষের কাছে ঘৃণিত হতে হবে। রাজনীতি করে মানুষের মন জয় করতে হবে, তাহলে তারা সারাজীবন, এমনকি মৃত্যুর পরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন– চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দীন।