খবর৭১: দুইপক্ষের আইনজীবীদের সময় আবেদনের কারণে কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আপিল আবেদনের শুনানির সময় পিছিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দুইপক্ষের আই্নজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা সময় নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল। মামলাটি শুনানির জন্য আসলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানির জন্য আদালতে হাজির হতে না পারায় সময় চেয়ে আবেদন করেন আরেক আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এ সময় আদালত অন্য মামলায় শুনানি শুরু করেন।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুববে আলম অন্য একটি বেঞ্চে মামলা শুনানির জন্য যান। এর কিছু পরেই অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত হন। কিন্তু তখন অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কোর্টে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতির জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানির জন্য দুপুর ১২টা সময় নির্ধারণ করেন।
বিশ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এরপর চলতি বছরের গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর প্রেক্ষিতেই আবেদনটি শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবারের (৭ জুন) কার্যতালিকায় এলো।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।
খবর৭১/জি:
