খবর ৭১: কুমিল্লায় দুটি এবং নড়াইলের একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে সোমবার আদেশ দেবে হাইকোর্ট।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার মামলাটিতে তার জামিনের আবেদনের শুনানি গত বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছিল।
আর রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কুমিল্লার অন্য মামলাটি এবং নড়াইলের মানহানির মামলার শুনানি শেষ হয়।
তিন মামলাতেই বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদনের বিষয়ে আদালত সোমবার আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া ওই মামলাটিতে আপিল করে জামিন নিলেও বিচারাধীন অন্য একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোয় তার মুক্তি আটকে আছে।
কুমিল্লা ও নড়াইলের তিনটি বাদে আরও দুটি মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সেগুলো এখনও শুনানির অপেক্ষায়।
কুমিল্লা ও নড়াইলের মামলা তিনটিতে গত ২০ মে হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
কুমিল্লার দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গত ২২ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শুনানির জন্য ৭ জুন তারিখ নির্ধারণ করেন। শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করা হলে ১৪ মে তা খারিজ করে দেন বিচারক। এর মধ্যে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
অবরোধের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হন। চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান পরদিন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলাটি করেন।
কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটিও নাশকতা নিয়ে।
অবরোধের মধ্যে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামে একটি কভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিনই চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়।
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তাতে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগে নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি দায়ের করা হয়।
নড়াইল জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করেন।