খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশ আজ

0
250

খবর৭১: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশ হতে পারে আজ সোমবার। রবিবার বিষয়টি নিয়ে শুনানির সময় আদালতে নথি এসে না পৌঁছানোয় আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।

আদেশের সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, আদালতের নির্ধারিত ১৫ দিন সময় শেষ হলেও এখন পর্যন্ত নথি (বিচারিক আদালতের) আসেনি। কিন্তু জামিন দেওয়ার বিষয়ে আপনাদের ক্ষমতা রয়েছে।

তখন আদালত বলেন, ‘আমরা ২২ ফেব্রুয়ারি আদেশ (নথি পাঠানোর) দিয়েছিলাম। আমাদের আদেশ তারা (বিচারিক আদালত) কবে পেয়েছিলেন? জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ওই একই দিনে (২২ ফেব্রুয়ারি) তারা নথি পাঠানোর আদেশ গ্রহণ করেছেন।’ শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য সোমবার দুইটায় দিন নির্ধারণ করেন। পরে বেলা তিনটার দিকে খালেদা জিয়ার মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি নেত্রীর জামির আবেদনের ওপর শুনানি হয়। সেদিন আদেশ না দিয়ে নথি দেখে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন দুই বিচারপতি।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি পাঠানোর আদেশ দেন। সেই অনুযায়ী ৭ মার্চ সেই সময় শেষ হয়। তবে হাইকোর্টের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেই অনুযায়ী গতকাল ১১ মার্চ ১৫ দিন পূর্ণ হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন।

একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন কারাগারে আছেন। বাকি তিন জন তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করতে ১১ দিন লেগে যায় রায়ের অনুলিপি না পেতে বিলম্বের কারণে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরদিন উচ্চ আদালতে আপিল করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here