খালেদা জিয়ার আবেদন নিষ্পত্তিতে ভুল পথে পরিচালিত হয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট: হাইকোর্ট

0
287

খবর ৭১ঃবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরসহ জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ সংশ্লিষ্ট আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।

গত ৩১ মে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে আবেদনটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হাইকোর্টের ওই আদেশের সাত পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন পর্যবেক্ষণ ওঠে এসেছে।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় গত ১৭ মে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারিপূর্বক জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম। একই সঙ্গে ৭ জুলাই ওই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে বলা হয়, অত্র মামলায় আসামি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গত ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা (ডব্লিউ/এ) ইস্যু করা হয়।

তৎপরিপ্রেক্ষিতে প্রসিকিউশন পক্ষ উক্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে আসামির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, যা উক্ত পক্ষের ওপর আরোপিত দায়িত্ব। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী অন্য মামলায় জেলহাজতে থাকলে আসামি গ্রেফতার দেখানোর দায়িত্ব প্রসিকিউশনের বা বাদীপক্ষের।

আসামিপক্ষের এ পর্যায়ে এ ধরনের দরখাস্ত দেয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই। এ পর্যায়ে উক্ত পক্ষ কর্তৃক দাখিলি দরখাস্ত নথিজাত করা হলো। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের জন্য পরবর্তী তারিখ ৭ জুলাই।

সংশ্লিষ্ট মামলা নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমাদের বলতে দ্বিধা নেই যে, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরসহ জামিন আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে।’

আদালত আরও বলেন, খালেদা জিয়া এরই মধ্যেই অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন। ফলে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরের জন্য আর অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এরপরও গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করে জামিন আবেদন নথিভুক্ত করে আদেশ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট গুরুতর ভুল করেছেন।

আদেশে আরও বলা হয়, মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান যে, গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর প্রতিবেদন গ্রহণের নামে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রয়োজনীয়ভাবে তার জামিন আবেদন নিষ্পত্তিতে বিলম্ব করেছে। যেটা আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহারের শামিল। একই সঙ্গে হাইকোর্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম এবং সংশ্লিষ্ট হাকিমকে হাজিরা পরোয়ানা ইস্যু করতে এবং জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২২ এ মামলাটি করেন।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here