মোঃ আব্দুল হালিম ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ গ্রামে প্রভাবশালী খান পরিবারের পারিবারিক দ্বন্ধে সরকারী পয়নিস্কাসনের ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ও জনতা মহাবিদ্যালয়ের হাফবিল্ডিং ভবন, খেলার মাঠ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জলবদ্ধতার কারনে পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের কয়েক একর জমির উৎপাদিত ফসল।
এলাকাবাসী জনান, স্থানীয় প্রভাবশালী ফারুক খানদের পারিবারিক দ্বন্ধের কারনে প্রায় আড়াই মাস পূর্বে পানি নিস্কাসনের জন্য এলজিইডি সড়কে নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরকারী পাইপ কালবাডের উভয় মুখ ইট সুরকি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার কারনেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারনে জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ও জনতা মহাবিদ্যালয়ের হাফবিল্ডিং টিনসেট ঘর দক্ষিণ পাশ দিয়ে অনেকটা ডেবে গেছে, পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে একেবারে অনপুযোগী হয়ে পরছে। সম্প্রতি এ সড়কটি দরপত্র আহবান করা হয়। জলাবদ্ধতার কারনে সড়কটি কার্পেটিংও করতে পারছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
কৃষকের কয়েক একর জমির বোর ধান, সবজির বাগান, মাছের ফিসারী পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি ঘরের উঠানে থৈ থৈ করছে পানি। পনি নিস্কাসনের জন্য রাতের আধাঁরে বিদ্যানন্দন থেকে কালদহ সড়কটি বিশাল আকারে কেটে ফেলা হয়েছে। সেই কাটা সড়কের সামনে অংশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । সড়ক কেটে ফেলায় কৃষি নির্ভর এ গ্রামের মানুষ কৃষি ফসল যান বাহনের কারনে বাজারে উঠাতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানায় কালাদহ গ্রামের কৃষক আহামদ আলী।
জলাবদ্ধতার পানি নিস্কাসনের জন্য এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কালাদহ ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি সমাধান করতে বলেন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলীম বলেন, খান পরিবারের লোকজন পানি নিস্কাসন করতে না দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমার হাফবিল্ডিং ঘর ডেবে গেছে, এছাড়াও কৃষি ফসলসহ প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে কৃষকের। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাইদুল ইসলাম খান বলেন, পানি নিস্কাসেনর জন্য পাইপ কালবাডের মুখের অংশ ইট সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় ফারুক খান। স্যার ( ইউএনও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চেয়ারম্যান সাহেব ও আমাকে বিষয়টি সমাধানের করতে যে দায়িত্ব দিয়েছিল, তা সমাধান করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
কালাদহ জনত মহাবিদ্যালয়ের বিএম শাখার প্রভাষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটির মাঠ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যে কারনেই মাঠ দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চলাচল করাই প্রায় অনপুযোগী হয়ে পরছে । যতদ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধান করা প্রয়োজন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম মাস্টার বলেন, পারিবারিক দন্ধের কারনেই জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন সমধান করতে পারেনি। বিষয়টি ইউএনও ম্যাডামকে জানিয়ে দিব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিরা তরফদার বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,সে যদি সমাধান না করতে পারে তাহলে যেভাবেই হউক পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
খবর ৭১/ইঃ