খরায় পুড়ছে লালমনিরহাট আমন চাষীদের মাথায় হাত

0
331

খবর৭১:আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনারহাট।। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন চাষীরা দুচিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। আমন ক্ষেতগুলো পানির জন্য হা-হা-কার, মাটি ফেটে চৌচির। খরায় পুড়ছে লালমনিরহাট। বৃষ্টির দেখা মিলছে না।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সুত্রে জানা গেছ, জেলা সদরসহ, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় এবার চলতি আমন মৌসুমে ৮৪ হাজার ৮শত ৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আগষ্ট মাস পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ অর্জিত হয়েছে। বৃষ্টির পানির অভাবে অধিকাংশই শ্যালো মেশিন, বৈদ্যতিক সেচ বা লো লিপ্ট পাম্পের (এলএলপি) মাধ্যমে চাষ করা হয়েছে। এসব চারা রোপনের পর থেকে খরায় হাজার হাজার আমন চাষী ক্ষেতে বাঁচাতে শ্যালোমেশিন দিয়ে বার বার পানি সেচ দিচ্ছেন। ফলে চলতি আমন ফসল উৎপাদন ব্যহত হওয়ার দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে কৃষকরা।

জানা গেছে, আমন ক্ষেতের জন্য কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরায় পুড়ছে লালমনিরহাট । এ খরায় হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেতে সেচ মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়েছেন। তার পরেও বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল এ আমন আবাদে বৃষ্টির অপরিহার্য। অপরদিকে বৃষ্টি না হলে ফসলে পোকার আক্রমণ ও রোগ বালাই দেখা দিয়ে উৎপাদনে ভাটা পড়বে। এমন ধারণা প্রকাশ করেছেন লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদফত।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার মহন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনিপাড়া গ্রামের কৃষক হাশেম আলী বলেন, তিনি ৪ বিঘা জমিতে সেচ পাম্পের পানি দিয়ে আমন চাষ করেছি। আমন চারা রোপনের পর থেকেই বোরো চাষের মতো সেচের মাধ্যমে আমন ক্ষেতে ধানের গাছের গোড়ায় সেচের মাধ্যমে পানি দিতে হচ্ছে। কিন্তু এরপরেও তিনি ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।

হারাটী ইউনিয়নের কৃষক সোলেমান আলী বলেন, সেচের মাধ্যমে আমন ক্ষেতে ধান গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া হলেও ধান গাছের কান্ডে অর্থাৎ ধান গাছের উপরে বৃষ্টির পানি না পড়লে ধান গাছের কান্ডে বিভিন্ন রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমনে ফসলের উৎপাদন মাারাত্বক বিপর্যস্ত হবে।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শ্রী বিধূভূষন রায় বলেন, এ যেন মরার উপর খরার ঘা। সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায ফসলে পোকার আক্রমন ও রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে আমন ক্ষেতগুলোর মাটি ফেটে চৌচির হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে এই জেলায় আমন চাষীরা মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়বে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here