ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, দায়িত্ব: প্রধানমন্ত্রী

0
294

খবর ৭১: আজীবন মানুষের সেবা করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ক্ষমতা কোনো ভোগের বস্তু নয়, দায়িত্বপালন। কাজেই এ দায়িত্বটাই পালন করতে চাই। মানুষের সেবা করাটাই আমাদের কাজ’।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি সব সময় মনে রাখি যে, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। কাজেই জনগণের সেবা করাটাই আমার প্রথম কর্তব্য।
বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং আশেপাশের ৮ জেলার ২০টি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
৭৫ এর দুঃসহ সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় একটি সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বেশিদিন সময় পেলেন না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে। যা ভাবলে সত্যিই অবাক লাগে। তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি যখন দেশে আসি তখন বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ছিলেন পুরস্কৃত। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই বিচার বন্ধ করে যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে আমি দেশে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট দেওয়া না দেওয়া জনগণের অধিকার। কিন্তু জনগণের সেবা করেই যাব। জনগণকে উন্নত জীবন দেব, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার আমাদের পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি শুধু হাসপাতাল করে ছেড়ে দেওয়া নয়, বিশেষজ্ঞ তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, কিন্তু কী অদ্ভুত চরিত্র আমাদের এ দেশের মানুষের। কারণ আমরা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করি কিন্তু পরে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
খবর ৭১/ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here