ক্রাইস্টচার্চের প্রতিশোধ নিতে শ্রীলংকায় হামলা: লংকান মন্ত্রী

0
289

খবরঃ ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে শ্রীলংকায় হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রীলংকায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে এ হামলার সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চের হামলার সম্পর্ক রয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান জয়াবর্ধনে সংসদে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে শ্রীলংকায় (রোববার) কী ঘটেছিল, তা ছিল ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিশোধ।

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে শ্বেতাঙ্গ ডানপন্থীর সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন মুসল্লি নিহত হয়েছিলেন।

জয়বর্ধনে বলেন, তদন্তে দেখা গেছে স্থানীয় ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াত (এনটিজে) এ ঘটনার পেছনে ছিল। এর সঙ্গে ভারতের ছোট মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীর সংযোগ রয়েছে।

সংসদে জয়াবর্ধনে বলেন, এই ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াত গোষ্ঠীর হামলার সঙ্গে (জেএমআই) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, এখানে উল্লেখ করা যায় জামায়াত-উল-মুজাহিদীন ভারত নামে পরিচিত এ গোষ্ঠীটি।

এ ঘটনায় দেশটিতে কারফিউ জাড়ি করা হয়। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে।

নাশকতার তদন্তে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হলো শ্রীলঙ্কার পুলিশ এবং সেনাকে। এর ফলে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে তারা। তামিল গৃহযুদ্ধের সময়ও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সেনাকে। তাই বিস্ফোরণ-পরবর্তী পরিস্থিতি অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছে তামিল গৃহযুদ্ধ চলাকালীন দেশের হিংসাত্মক অতীতের কথা।

গ্রেফতারের মধ্যে একজন সিরিয়ার নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকা পুলিশের মুখপাত্র।

মঙ্গলবার থেকে হামলার ঘটনায় নিহতদের গণকবর দেওয়া শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার সময় সারা দেশজুড়ে নীরবতা পালনের পরপরই শুরু হয় গণকবর।

রোববার ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকার তিনটি গির্জা, তিনটি হোটেলসহ অন্তত আটটি স্থানে পরপর বোমা হামলা হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি নাগরিক। আহত পাঁচ শতাধিক।

ওই দিন ছিল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল।

সূত্র: আরব নিউজ ও রয়টার্স।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here