কোয়েলের ডিমের যত রকম ভিটামিন

0
324

খবর৭১:পুষ্টি উপাদান
প্রোটিনের শক্তিশালী উৎস। উপকারী কোলেস্টেরল, ভিটামিন ‘বি১’, ভিটামিন ‘বি২’ ও ভিটামিন ‘এ’ আছে।

মুরগির ডিমের চেয়ে কোয়েলের ডিমে ভিটামিন ‘বি১’ ছয় গুণ এবং ভিটামিন ‘বি২’ ১৫ গুণ বেশি থাকে। এই প্রোটিন অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’-এর উৎস কোয়েলের ডিম। কাজেই দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের পেশির দেখভাল করে। চোখে সহসা ছানি পড়তে দেয় না। চোখের বেশ কিছু সাধারণ সমস্যা দূর হয়।

কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফ্যাটি এসিড আছে এই পাখির ডিমে। এলডিএল বা বাজে কোলেস্টেরলের কার্যকারিতা রুখতে দরকার হয় এইচডিএল বা উপকারী কোলেস্টেরল।

কোয়েলের ডিমের ফ্যাটের ৬০ শতাংশই এইচডিএল রক্ষায় ব্যয় হয়। ফলে দেহে ভালো কোলেস্টেরল ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
এই ডিমে পটাসিয়ামের উপস্থিতি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এই খনিজ রক্তবাহী নালি এবং শিরাগুলোতে আরাম দেয়। ফলে এগুলো সুষ্ঠুভাবে কাজ করে। তুলনামূলকভাবে মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক বেশি পটাসিয়াম রয়েছে কোয়েলের ডিমে।

দেহ পরিষ্কার
দেহকে বিষমুক্তকরণ অতি জরুরি বিষয়। পরিবেশের অনেক ক্ষতিকর উপাদান দেহে প্রবেশ করে দূষণ ঘটায়। রক্তপ্রবাহ থেকে এসব উপাদান বের করে দিতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে কোয়েলের ডিম। মূত্রথলি এবং কিডনিতে পাথর হতেও বাধা দেয়।

অ্যালার্জি নিরাময়
ডিমের সাদা অংশে থাকে ওভোমিউকয়েড প্রোটিন। এটা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অ্যালার্জির মতো কাজ করে। রক্ত জমাট বাঁধা, ইনফ্লামেশনসহ অ্যালার্জি বিভিন্ন লক্ষণ থাকলে কোয়েলের ডিম খুবই উপকারী। এ ছাড়া সুষ্ঠু বিপাকক্রিয়া ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই ডিমে ভরসা রাখুন।

সাবধানতা
এই ডিমে সামান্য পরিমাণে সম্পৃক্ত ফ্যাট আছে। কাজেই অতিমাত্রায় খাওয়া ঠিক না। তা ছাড়া এমনিতেই অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here