খবর৭১:মাঠপর্যায় থেকে এবার কোরবানির পশুর চামড়া কিনে বিপদে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন রাজধানীর অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী বা ফড়িয়ারা। বিশেষ করে যেসব মৌসুমি ব্যবসায়ী সাতশ’ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনেছেন, তারা পাইকারের কাছে বেশি দামে তা বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া কিনে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের মুখ দেখার আশঙ্কা করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে।
এ প্রসঙ্গে বাবুল মোল্লাহ নামের একজন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জানান, মিরপুর এলাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। এরপর তা বিক্রি করতে তিনি লালবাগের পোস্ত এলাকার পাইকারদের কাছে যান। কিন্তু পাইকাররা গড়ে সাতশ’ টাকার বেশি দাম হাকছেন না।
কেবল বাবুল মোল্লাহ নয়, তার মতো চামড়া কিনে বিপদে পড়েছেন ইব্রাহিম খান নামের আরেকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। মগবাজার এলাকা থেকে চামড়া কিনেছেন তিনি। ইব্রাহিম খান জানান, তার মতো শত শত মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন।
মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘চামড়ার বাজার এখন একেবারেই ভালো না। যে কারণে চামড়ার দাম কমে গেছে।’ বিগত তিন দশক পর এখন চামড়ার দাম সর্বনিম্ন বলেও জানান তিনি।
এর আগের ঈদের সময় দেখা গেছে, সাধারণত ঈদের দিন দুপুর থেকেই পাইকাররা তৎপর হন; বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ঘুরে ঘুরে তারা মৌসুমি ব্যবসায়ীরে কাছ থেকে চামড়া কিনে নেন। কিন্তু এবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা চামড়া নিয়ে পাইকারের অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা গেছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
রাজধানীর মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ১২ থেকে ২৫ বর্গফুটের প্রতিটি চামড়া সাতশ’ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পরামর্শ দিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা। আর ঢাকার বাইরে এই সাইজের চামড়া তিনশ’ থেকে নয়শ’ টাকার মধ্যে কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খবর৭১/জি: