হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে নির্দেশনা অমান্য করে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকায় কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশিনার বারাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ছাতক একতা বালু উত্তোলন ও সরবরাহকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, ছাতক শাহ পরান ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমবায় সমিতি সভাপতি এবাদুর রহমান, ছাতক লাল পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নূর মিয়া, পঅতর লেভার সর্দার সমবায় সমিতির সভাপতি তজমুল আলী ও ছাতক সুরমা নৌকা চালক সমবায় সমিতির সভাপতি মকবুল আলী স্বাক্ষরিত অভিযোগ বিভাগীয় কমিশিনার বরাবরে দেয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের পাথর ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৃষ্ট মতবিরোধ নিরসনে গত ১৫ অক্টোবর বিভিাগীয় কমিশনারের আহবানে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি ও পাথর ব্যবসায়ীদের একটি ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় ব্যবাসায়ী সার্থে ২০১০ সালে করা চুক্তির বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তোলে ধরেন ছাতকের ব্যবাসায়ীরা। সভায় ২০১০ সালে করা চুক্তির ভিত্তিতে আপাদত ব্যবসা করার পরামর্শ দেন বিভাগীয় কমিশিনার। অর্থাৎ ৩ হাজার ফুট ও তার অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্কহেড, বড় নৌকা ছাতকের তিন নদীর মোহানা গোয়ালগাঁও পয়েন্ট অতিক্রম না করে লোড-আনলোড করার কথা বলা হয়। কিন্ত ছাতকের পাথর ব্যবসায়ীদের নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে প্রচার-প্রচারনা করে যাচ্ছেন। তার এহেন বক্তব্যে ছাতকের ব্যবসায়ীরা হতভস্ব ও বিচলিত হয়ে পড়েছেন। ৩ নদীর মোহনায় রেখে বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেড লোডিং- আনলোডিংয়ের দাবীতে পাথর শ্রমিকরা কর্মবিরতী পালন করেছ। এ বিষয়টিকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি কর্তৃক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে এ অভিযোগ দেন ছাতকের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
খবর৭১/এসঃ