শ্যামপুর, ঢাকা প্রতিনিধি:
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব আ.ন.ম সাইফুল ইসলাম বলেছেন, জিয়া পরিবারের প্রতিটি সদস্য এ দেশের মানুষের হৃদয়ে বসবাস করে। কোন ষড়যন্ত্র করে তাদেরকে জনগণের কাছ থেকে বিছিন্ন করা যাবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে। আর তাহলে দেশের মানুষ ভাল থাকবে এবং দেশের উন্নয়ন হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’র ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হয়েও তিনি ছিলেন নির্লোভ ও নিরঅহংকারী ব্যক্তিত্ব। তিনি সবসময়ই ক্ষমতার ব্যবহার থেকে দূরে থাকতেন। এজন্য তাকে দেশের যুব সমাজ তথা দেশের মানুষ ভালবাসে ও স্মরণ করে। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কমনা করছি।
আ.ন.ম সাইফুল ইসলাম বলেন, ছোট ছেলে এমন সময়ে মারা যান যখন মা খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে অবরুদ্ধ ছিলেন। সরকার তাঁর বাসার সামনে বালুর ট্রাক দিয়ে এবং বাসার গেটে তালা লাগিয়ে রাখে। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে অচেতন হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। বারবার মূর্চ্ছা যান তিনি। বিদেশে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসার জন্য অবস্থান করলেও আদরের ছোট ছেলে এভাবে মারা যাবেন এমনটি খালেদা জিয়ার কল্পনাতেও ছিল না। পাশে থাকা পরিবারের স্বজনরা সান্তনা দিতে গেলেও তাঁকে থামানো যায়নি। ছেলের মৃত্যুতেও তিনি জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ইন্তেকাল করেন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরী অবস্থার সময় মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন, আরাফাত রহমান কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন।
খবর ৭১/ এস: