খবর ৭১ঃসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রদত্ত ৫ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির সময়সীমা বেধে দিয়েছে এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে ‘সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার’ কথাও জানিয়েছে তারা। আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেছে তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ক্র্যাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনের পর এক লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারিভাবে গঠিত “কোটা সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত কমিটি” এর প্রধান মন্ত্রীপরিষদ সচিব এর গত ১৩ আগস্ট প্রকাশিত প্রাথমিক প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ছাত্রসমাজ মনে করি, বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কিছু পরিমাণ কোটা রাখা দরকার আছে।
আমরা ছাত্রসমাজ কখনোই কোটা বাতিল চাই নি। শুরু থেকেই আমরা ছাত্রসমাজের ৫ দফার ভিত্তিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছি।‘
৫ দফা-
১. সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত নিয়োগে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কোটা হ্রাস করে ১০% নিয়ে আসা।
২. কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া।
৩. একই পরিবারকে কোটার সুবিধা একাধিকবার না দেয়া।
৪. কোটায় কোনো বিশেষ নিয়োগ না দেয়া।
৫. সকলের জন্য অভিন্ন বয়সসীমা ও কাট মার্কস।
এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে আমরা ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান করা হয়। সেইসঙ্গে তাদের তিনটি দাবি মেনে নেয়ার জন্য বলা হয়-
১. আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি।
২. হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
৩. ৫ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের প্রজ্ঞাপন।
খবর ৭১/ইঃ