তাসলিমা খানম বীথি
সিফডিয়া, সিলেটঃ
মানুষের কথা, সমাজের কথা আমাদের লেখায় ফুটে উঠতে হবে। এটা সম্ভব হলে সমাজের প্রতি লেখকদের দায়বদ্ধতা পালন হবে। একজন লেখক যেখানেই থাকেন না কেন দেশের প্রতি তার প্রেম অব্যাহত থাকবে। তরুণ কবি সাজন আহমদ সাজু প্রবাসে পাড়ি দিলেও সে তার লেখার জগত থেকে হারিয়ে যাবে না। তরুণদের কাজ শুধু পিছনে ফেরা নয়, তারা সামনে এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে।
কৈতর সিলেট-এর উদ্যোগে কবি সাজন আহমদ সাজু’র কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার চিরকুট’র প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা একথা বলেন।
নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ মেট্টোপলিটন ল’ কলেজ মিলনায়তনে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহ-সভাপতি গল্পকার সেলিম আউয়ালের সভাপতিত্বে ও গল্পকার তাসলিমা খানম বীথি’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মূখ্য আলোচক হিসেবে লেখক সালেহ আহমদ খসরু এবং অন্যান্যের মধ্যে ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, কবি অনিন্দ্য আনিস, প্রাবন্ধিক কবি মোহাম্মদ আব্দুল হক, কবি মাহফুজ জোহা, লেখক ও ব্যাংকার জয়নাল আবেদিন বেগ এবং লেখা পাঠ করেন গীতিকার বাহা উদ্দিন বাহার, কবি কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সেলিম আউয়াল বলেন, কবি সাজন আহমদ সাজু একজন আবেগী তরুণ। সে তার আবেগকে ধরে রাখবে। হতাশা যেনো তাকে গ্রাস না করে। আমার বিশ্বাস সাজু একদিন সফল হবেই। তার কবিতা লেখার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
কবি সালেহ আহমদ খসরু বলেন, সাজু শুধু একজন কবি হিসেনে নয় সে সমাজসেবকও। তার হৃদয়ে কবিতা বাস করে, সেখানে রয়েছে মানুষের জন্য প্রচন্ড ভালোবাসা। বিশেষ করে শিক্ষার জন্য সে কাজ করছে। নিরক্ষর শিশুদেরকে স্বাক্ষর করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কবি সাজন আহমদ সাজু বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে পারলে প্রচন্ড প্রশান্তি পাই, আমাকে আনন্দ দেয়। বিশেষ করে শিক্ষার জন্য কাজ করতে চাই। সেজন্য একটি স্কুল দিয়েছিলাম। সেখানে শিশুরা পড়াশোনা করছে। আমি চাই সমাজে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিশুরা যাতে শিক্ষিত হতে পারে।
খবর৭১/ইঃ