খবর৭১ঃজাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে মতবিরোধে এবার ভাঙল সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দল বিকল্পধারা বাংলাদেশের।
শুক্রবার সকালে দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারীকে প্রেসিডেন্ট এবং দলের সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহম্মেদ বাদলকে মহাসচিব করে বিকল্পধারার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিকল্পধারার অন্য অংশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী তার বারিধারার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেন, বহিষ্কৃত নেতাদের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতাদের অব্যাহতির ঘটনা হাস্যকর। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুঃখজনক ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। বিকল্পধারা অটুটই আছে। কেউ কেউ হয়তো বিকল্পধারার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে বেরিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দল থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের দিয়ে একটি বিকল্পধারা করা হয়েছে। বিএনপি এই জিনিসগুলো করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আমি এখনো নিশ্চিত নই বলে সরাসরি কিছু বলছি না। তবে এই ধরনের কাজ যদি বিএনপি করে থাকে তাহলে সেটা হবে নীতিবিবর্জিত কাজ। বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের দেউলিয়াত্বই এখানে প্রমাণ পাবে।
মাহী বলেন, আমরা বিএনপিকে আগেই বলেছি- স্বাধীনতাবিরোধীদের ছাড়লে ও ভারসাম্যের রাজনীতি মেনে নিলে তাদের সঙ্গে ঐক্য করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এখনো বিএনপির ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ স্বাধীনতাবিরোদীদের সঙ্গে ঐক্যের বিরোধী।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহৎ ঐক্য চাই। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি যুক্তফ্রন্টে কাজ করতে রাজি হয়েছে। আরও অনেক দল এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দলের মূল অংশ দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বেপারী বলেন, আমাদের সঙ্গে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রয়েছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইভাবে দলের তিনজন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মূলত ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ না দেয়ার কারণে এই অংশটি বিকল্পধারা থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এর আগে গত শনিবার শাহ আহম্মেদ বাদল ও জানে আলমকে বিকল্পধারা থেকে বহিষ্কার করেন বি চৌধুরী। জানে আলম কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
খবর৭১/ইঃ