খবর ৭১ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অন্যান্য হলের ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি। অগের রাতের সিল (ঠিক) মারা ব্যালট পেপার নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলের সামনে বিক্ষোভ করছে। তারা প্রোভিসি ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু করার সময় ছাত্রীরা খালি বাক্স গুলো দেখাতে বলে। তবে কর্তৃপক্ষ এতে অপরাগত প্রকাশ করে। এসময় ছাত্রীরা ভোটগ্রহণ শুরু করতে বাধা দেয়।
পরে ব্যালট বক্সে ছাত্রলীগের পক্ষে বক্সভর্তি ব্যালট দেখা যায়। কুয়েত-মৈত্রী হলে ভোটের আগে খালী ব্যালট বাক্স না দেখানোর কারণে বিক্ষোভের মুখে সকাল সাড়ে নয়টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
পরে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রোভিসি ড. মোহাম্মদ সামাদ ও প্রক্টর গেলে তাদের অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তারা ছাত্রলীগের প্রার্থীর ওপর টিক চিহ্ন দেয়া ব্যালট নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
এ সময় কুয়েত হলের সামনে থাকা ছাত্রলীগের ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলে উত্তেজিত ভোটাররা। ছাত্রীরা অভিযোগ করেন- হলের প্রভোস্ট শবনম জাহান ভোটারদের ব্যালট বক্স দেখতে দেয়নি। শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের পদত্যাগ এবং পুনরাত নতুন বক্সে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও হল প্রভোস্ট কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
কুয়েত-মৈত্রী হলের এক ভোটার ব্রেকিংনিউজকে বলেন, আমরা ভোট দিতে গেলে আগেই দেখি ব্যালট ভর্তি ছাত্রলীগের বক্স। এরপএ আমরা বিক্ষোভ করি। এখন পর্যন্ত ভোট বন্ধ রয়েছে।