কুড়িগ্রামে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে তাবু টানিয়ে জমি জবরদখল: হত্যার হুমকী

0
248

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাজলদহ গ্রামে জেলা জজ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৮৯ শতক জমি জবরদখল করার পায়তারা করছে উমেদ আলী গং। দীর্ঘ ১৬ বছর আদালতে মামলা চলাকালিন সময় সাক্ষ্য প্রমাণ ও দলিল দস্তাবেদে নজির হোসেন গং ওই জমির মালিকানা লাভ করেন। আদালত চলতি বছর এ জমি প্রকৃত মালিক পক্ষকে দখল বুঝিয়ে দেয়। এরপরও চতুর উমেদ আলী গং জনৈক ময়না বেগমকে দিয়ে অবৈধভাবে তাবু টানিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে বিরাজ করছে উত্তেজনা। যে কোন সময় বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাধিক শালিস হলেও প্রতিপক্ষের একগুয়েমীতার কারণে সুরাহা হচ্ছে না।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাজলদহ এলাকায় ৮৯ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে বাদি মৃত: নজির হোসেন এর পূত্র মনোয়ার হোসেন গংএর সাথে উমেদ আলী গংএর বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠকের পর উভয়পক্ষ জমির মালিকানা দাবি করে আইনের আশ্রয় নেয়। ২০০১ সালে নজির হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মামলা চলার পর কুড়িগ্রাম সহকারি জজ আদালত চলতি বছরের ২২ মার্চ এর মধ্যে ডিক্রীধারীকে জায়গার দখল বুঝিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। সে মোতাবেক ১৪ মার্চ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ আদালত মোকদ্দমার দখলী পরওয়ানার নিমিত্তে আদালতের জারীকারক গোলাম রহমান, সিভিল কোর্ট কমিশনার এনামুল হক ও পুলিশসহ নালিশী তপশীলভুক্ত সম্পত্তিতে উপস্থিত হন। পরে তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কমিশনার ওই জমিতে অবস্থিত ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে নিয়ে যেতে বললে বিবাদী পক্ষ তা সড়িয়ে নেয়। পরে চিহ্নিত স্থান সমূহে লাল নিশানা লাগিয়ে ডিক্রীদারী পক্ষ মৃত: নজির হোসেন এর পূত্র মনোয়ার হোসেন গংদেরকে জায়গা বুঝিয়া দেওয়া হয়। কিন্তু চতুর উমেদ আলী গং রাতারাতি তাবু টানিয়ে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জায়গার দখল নিয়ে লোকজন দিয়ে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে।
জমির প্রকৃত মালিক মৃত: নজির হোসেন এর পূত্র মনোয়ার হোসেন জানান, এই জমির মামলা চালাতে গিয়ে আমার বাবা মারা যান। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমরা আদালত থেকে রায় পাই। চলতি বছরের ২২ মার্চ আদালত কর্র্তৃক ঢাকঢোল পিটিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জায়গা খালি করে লাল নিশানা লাগিয়ে আমাদেরকে দখলি সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়। আদালতের লোকজন চলে যাওয়ার পর ওইদিন রাতেই উমেদ আলীর লোকজন জোড় করে দখলী সম্পত্তিতে অবৈধভাবে তাবু টানায়। আমরা জমির কাছে গেলে উমেদ আলী, তার পূত্র সহিদুল, স্ত্রী ছকিমন ও তাদের পক্ষের খলিল হোসেনের স্ত্রী ময়না বেগম, মজা হোসেনের স্ত্রী খোতেজা বেগম এবং মৃত: কেচু শেখের পূত্র বাহাদুর ও তার স্ত্রী রমিচা বেগম আমাদেরকে হুমকী-ধামকী দেয়। এসময় ময়না বেগম দেশীয় দা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করার চেষ্টা চালালে আমরা সেখান থেকে সড়ে যাই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানোর পরও ওরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিজেদের জমিতে যেতে পারছি না। তাদের হুমকী-ধামকীতে আমরা প্রাণভয়ে আছি। যে কোন সময় এই জমি নিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা বা নারী ঘঠিত ইস্যু নিয়ে হয়রাণী করার পায়তারার চেষ্টা চালাচ্ছে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here