খবর ৭১ঃ১৯৯৬ সালের ১২ জুন । ভারতের কলকাতা শহরের চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুট মিল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল ১৫ বছরের দীননাথ চৌধুরী।
পথে একটি কুকুর তাকে কামড়ে দেয়। পরদিন দীননাথকে চন্দননগর সাব-ডিভিশনাল হসপিটালে নিয়ে যায় তার পরিবার।
কিন্তু কোনোরকম চিকিৎসা না করেই তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে দাবি করে পরিবারের লোকজন। ১০ দিন কুকুরটিকে নজরে রাখার নির্দেশ ছাড়া অন্য কোনো পরামর্শও দেয়া হয়নি তাদের।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হযেছে, দীননাথকে কামড়ানোর পাঁচ দিন পর থেকে কুকুরটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এদিকে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
আবারো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ১০ দিন ধরে অ্যান্টি-র্যাবিস ইনজেকশন দেয়া হয় তাকে। কিন্তু স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হতে থাকায়, ৭ আগস্ট দীননাথকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তার দুই দিন পরেই মৃত্যু হয় ১৫ বছরের কিশোরের।
বিচারের জন্য তারপর থেকেই শুরু চৌধুরী পরিবারের লড়াই। ২০১২ সালে মামলা পৌঁছে যায় স্টেট কনজিউমার কোর্টে।
প্রথমে বলা হয়েছিল, যেহেতু দীননাথ সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় সেবা পেয়েছিল, সেহেতু তার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার নেই।
কিন্তু পরে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত রায় দেয়। ‘ফ্রি সর্ভিস’-ও সার্ভিস। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার দীননাথের পরিবারের রয়েছে। অবশেষে চৌধুরী পরিবার বিচার পায় গত বুধবার।
প্রসঙ্গত, ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন দীননাথের বাবা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তার মৃত্যু হয়।
খবর ৭১/ইঃ