কালের গর্ভে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে নড়াইলের বাঁশের তৈরী বিভিন ডিজাইনের বেড়া,চাল,ঝাপি!

0
906

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বাশেঁ তৈরী ছাদ মোক যদি কাহো বাইরোত কাজত ডাকাইল হয় তাহলে মোর অভাব থাকিলনা হয়কালের গর্ভে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের তৈরী ঘরের ছাদ। বেকায়দায় পড়ছেন ঘরালীরা(বাঁশ শ্রমিকরা)। অন্য কাজে মন বসাতে না পেরে অভাব অনটনে পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা । বর্তমান সময়ে তাঁরা কাজ চায় শুধ বেঁচে থাকার তাগিদে। একজন ঘরালী’র (বাঁশ শ্রমিকের) দীঘ নি:শ্বাস“মোক যদি কাহো বাইরোত কাজত ডাকাইল হয় তাহলে মোর অভাব থাকিলনা হয়”। প্রচন্ড গরম আর তীব্ররোধে বাঁশ ঝাড়ের নিচে কাঁজের ফাকে একান্ত আলাপ চারিতায় এমন কথা বললেন জেলা সদরের এলাকার মৃত জগেস চন্দ্র ছেলে সাকালু চন্দ্র (৩৮)।পেশায় সাকালু একজন ঘরালী। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের ঘরের ছাদ, ঘরের বেড়া, বাঁশের চাল, দইয়ের ঝাপি তৈরী করতে পারেন। প্রচন্ড ধৈয্যের কাজ। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন তৈরী করা। সেই কাজটি প্রায় ২০বছর যাবৎ করে আসছেন তিনি। তার নিজ এলাকাসহ আশে পাসের এলাকায় সবাই তাকে বাঁশের কাজ বা ঘরের ছাদ বানা সাকালু নামেই চেনেন। সাকালু চন্দ্রের দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ চার সদস্যের একটি পরিবার। স্ত্রী গৃহীনি। বড় ছেলে রতন চন্দ্র বর্তমানে একজনের আয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। ছেলেদের পড়ালেখার খরচও ঠিকভাবে চালাতে পারিনা। বড় ছেলে পঁচাগড়ত একটা আরদে কাজ করে যে অর্থ পায় তা দিয়ে কোন রকম তার পড়ালেখার খরচ চালায়। ভিটে বাড়ি ছাড়া আর কোন জমিজমা আমার নেই। বাঁশের কাজ ছাড়া অন্য কাজ ভাল লাগেনা। এলাকায় ও আসেপাশে যে পরিমান কাজ হয় তা দিয়ে কোন রকমে দিন যাপন করা যায়। সাকালু জানান আমার কোন ওস্তাদ নেই। প্রথমে উপনে নামে এক লোকের কাজ থেকে দৈইয়ের ঝাপি বানা শিখি। তারপর নিজের প্রচেষ্টায় তৈরী করি বাঁশ দিয়ে ঘরের বিভিন্ন ডিজাইনের ছাদ। হার্ডবোর্ডের চেয়ে বাঁশের তৈরী ছাদ ঠান্ডা বেশি হয়। একটি একটি ঘরের ছাদ তৈরী করতে হার্ডবোর্ডের চেয়ে খরচ একটু বেশি পড়ে। তবে টেকসই হার্ডবোর্ডের চেয়ে অনেক বেশি। নিম্মে এক’শ বছর। তার দলে সুন্দর, উত্তম, বাতিসর, সাকাতুসহ ৫/৬জন আছে । তারাও এই বাাঁশের কাজ করতে পারে। আমি কাজ পেলে তারাও আমার সঙ্গে যান। যা আয় হয় তা ভাগ াটোয়ারা করে নেই। এলাকায় তেমন কাজ নেই। টাকা পয়সাও নেই যে বাশেঁর বিভিন্ন ডিজাইনের রেডিমেট ছাদ,দইয়ের ঝাপি, বাঁশের বেড়ার দোকান দিবো। যদি বাইরের এলাকা থেকে মোক যদি কাহো বাইরোত কাজত ডাকাইল হয় তাহলে শুধু মুই নাহও মোর সাথিগুলারো অভাব থাকিলনা হয়।# ছবি সংয
নড়াইলে পুলিশের মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার-২৫
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ আজ শনিবার (৩০,জুন)-৭৪-০১৬৭৭৪২১১২৫: নড়াইলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগে শুক্রবার থেকে শনিবার (৩০ জুন ) সকাল পর্যন্ত অভিযানে মোট ২৫ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম স‚ত্রে জানা গেছে, জন জিআর মামলায় ১৬ জন সিআর মামলায় ৬ জন নিয়মিত মামলায় ২ জন মাদক মামলায় ১ জন সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক, জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন পিপিএম নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগে শুক্রবার থেকে শনিবার (৩০জুন ) সকাল পর্যন্ত সকাল পর্যন্ত অভিযানে মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি ¯^াভাবিক রাখতে আমাদের নড়াইল জেলায় এ অভিযান চলমান থাকবে। # ছবি সংয

নড়াইলে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই রাজ মিস্ত্রির মৃত্যু

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ আজ শনিবার (৩০,জুন)-৭৪-০১৬৭৭৪২১১২৫: নড়াইলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে আশরাফ শেখ (৩৫) নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আশরাফ আলী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তিন ছেলের জনক তিনি। নিহতের প্রতিবেশী আলীম শেখ নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, নড়াইলে মাইটকুমড়া গ্রামের ওমর শেখের ছেলে আশরাফ শেখ আজ সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে তার ঘরের একটি ফ্যান মেরামত করছিলেন। ওই সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ¯­ুইচ বন্ধ করতে ভুলে যান তিনি। ফ্যান মেরামতকালে বিদ্যুৎ আসলে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পরিবারের সদস্যরা আশরাফকে উপজেলা ¯^াস্থ্য কমপে­·ে নিলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. দেলোয়ার হোসেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ফ্যান মেরামতকালে বিদ্যুৎ তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আজ সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। # ছবি সংয

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নড়াইলের নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়িতে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হবে

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ আজ (২৯ জুন)-৭৪-০১৬৭৭৪২১১২৫: নড়াইলের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়ি নড়াইলের ইতনায় আগামি ৩ আগস্ট কবি ও সাহিত্যিকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্ত স্মৃতি সংসদের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক ও ফোকলোর গবেষক সুলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চিত্র ও কণ্ঠশিল্পী এম সবুজ সুলতান, সহসভাপতি চিত্রশিল্পী এসএম আলী আজগর রাজা, সহসভাপতি সহকারী অধ্যাপক বেলাল সানী, সহসাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধি আজগর ঝিলিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক চিত্রশিল্পী নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক মিলন বিশ্বাস তন্ময়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারজিন আহমেদ, কার্যকরী সদস্য দ্বিজেন্দ্র লাল রায় এ সময় সাংবাদিক মধ্যে উপস্থিত, নড়াইল জেলা অনলাইন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন মোল্যা বাঘ ডাংঙ্গা, কোষাদক্ষ বুলু দাস,মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, নড়াইলের নড়াইল বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ,। এছাড়া প্রতিবছর ইতনায় নীহার রঞ্জন গুপ্তের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন, নীহার রঞ্জন গুপ্তের বসতভিটা ও বাড়িঘর সুর¶াকল্পে সংশি­ষ্ট কর্তৃপ¶ের সাথে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত হয়। প্রসঙ্গত, ‘কিরীটি রায়’ চরিত্রখ্যাত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্ত ১৯১১ সালের ৬ জুন নড়াইলের ইতনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সত্যরঞ্জন গুপ্ত ও মায়ের নাম লবঙ্গলতা দেবী। নীহার রঞ্জন গুপ্ত গোয়েন্দা ও রহস্য কাহিনী লেখক হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি চিকিৎসক হিসেবেও ¯^নামধন্য। বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ‘কিরীটি রায়’ এর ¯্রষ্টা হিসেবে উপমহাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি। তার পরিবার ছিল বিখ্যাত কবিরাজ বংশীয়। উইকিপিডিয়াসহ (মুক্ত বিশ্বকোষ) বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকে নীহার রঞ্জন সম্পর্কে এসব তথ্য পাওয়া যায়। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, নীহার রঞ্জন গুপ্ত পেশায় চিকিৎসক হলেও মানব-মানবীর হৃদয়ের কথা তুলে ধরেছেন সুচারু ভাবে। ‘রহস্য’ উপন্যাস লেখায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে গোয়েন্দা গল্প রচনায় আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। ভারতে এসে প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস ‘কালোভ্রমর’ রচনা করেন। এতে গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে ‘কিরীটি রায়’কে সংযোজন করেন, যা বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যে এক অনবদ্য সৃষ্টি। পরবর্তীতে ‘কিরীটি রায়’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে বাঙালি পাঠকমহলে। তিনি বাংলা সাহিত্যে রহস্য কাহিনী রচনার ¶েত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ছিলেন। কেবলমাত্র রহস্য উপন্যাস নয়, তার সামাজিক উপন্যাসগুলোও সুখপাঠ্য। যা পাঠক হৃদয় আকৃষ্ট করে এখনো। এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫টি উপন্যাসকে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রায়ণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের উপযোগী সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজ সাহিত্য’ এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নীহার রঞ্জন গুপ্তের উপন্যাসের সংখ্যা দুইশতেরও বেশি। নীহার রঞ্জন গুপ্ত ১৯৮৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, নড়াইলের ইতনা গ্রামে ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের আপনজন কেউ নেই। পৈতৃক বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় থাকার পর ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়েছে। তার পৈতৃকভিটায় রয়েছে দ্বিতল বাড়ি, পুকুরসহ গাছ পালা।# ছবি সংয

হারানো গরু থানার এসআই’র নির্দেশে বিক্রি। শ্বশান ঘাটস্থ শালিস বৈঠক ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিতে প্রতিশ্রæতি!
বুলু দাস সদর প্রতিনিধি: পুলিশের নির্দেশে হারানো গরু বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী স‚ত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের জয়পুর গ্রামের মাহমুদ সরদারের একটি গাভী গত থেকে ছাড়া পেয়ে পাশ্ববর্তী মশাঘুনী গ্রামের শহিদুল মলি­কের বাড়িতে চলে আসে। শহিদুল মলি­ক ৭ দিন গাভীটিকে লালন পালন করে গাভীর মালিক খুঁজতে থাকে। সংবাদ পেয়ে থানার আলোচিত এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কৌশলে গাভীটির ভুয়া মালিক সাজিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও শহিদুল গাভীটি বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে গাভী মালিক মাহমুদ এসআই সাইফুল ইসলাম ও শহিদুলের নিকট গাভী দাবি করলে তারা গাভীটি ফেরত দেওয়া নিয়ে নানা ধরণের তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে গত শনিবার (২৩ জুন) বিকালে জয়পুর শ্বশান ঘাটস্থ এলাকায় মাহমুদসহ তার গ্রামবাসি ওই এসআই সাইফুলকে ঘিরে ফেলে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয় এবং শ্বশানে এক শালিস বৈঠক বসে। এ ঘটনায় এসআই সাইফুলের সহকর্মী এসআই কামরুল দায়িত্ব নিয়ে গাভী বিক্রির ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়ে নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে মিমাংশার একটা কথা হয়েছে। তবে ¶তিগ্রস্থ মাহমুদ সরদার এখনো তার হারানো গাভী বা ¶তিপ‚রণের টাকা পায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. মনিরুল ইসলাম, ইনভেস্টিগেশন করাসপন্ডেন্ট, জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে থানার এসআই সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোন (০১৭১০-৭০২২৯০) নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং পরে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।# ছবি সংয

নড়াইলে কালের আবর্তনে হারিয়ে যাছে আমাদের গ্রাম বাংলার তাল গাছে রঙবে রঙের দৃষ্টিনন্দন বাবুই পাখির বাসা!
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ আজ (২৮জুন) ২৭৪-০১৬৭৭৪২১১২৫: নড়াইলের থেকে হারিয়ে যাছে আমাদের গ্রামবাংলার তাল গাছে দৃষ্টিনন্দন বাবুই পাখির বাসা কবি রজনীকান্ত সেন এর বাবুই পাখি ও চঁড়–ই পাখি নিয়ে অসাধারণ লেখা সেই কবিতাটির ভাষা আজ আমাদের হৃদয়ে দোল দিয়ে যায়। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চঁড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকার পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে। ছোট্ট পাখি বাবুই। নামটি যেমন সুন্দর তেমনি সুন্দর তার শরিরের গঠন এবং সুন্দর তার নির্মান শৈল্পিক কারুকাজ। বহু যুগ ধরে শহরে বা গ্রামে মাঠে প্রান্তরে তাল গাছ দেখলেই চোখে পড়তো বাবুই পাখির সুন্দর দৃষ্টিনন্দন এক শৈল্পিক কারুকাজ খচিত বাবুই পাখির বাসা। তাল গাছের পাতায় পাতায় বাতাসে সাথে হেলে দুলে দৃষ্টি আকর্ষন করছে শত শত বাসা। পাতা থেকে কিছুটা নিচে ঝুলে এসেই তৈরি হয় বাবুই পাখির নিপুন হাতে গড়া ¯^র্ণকমল বিছিষ্ট কাঁচা বাসা। দেখতে মন্দ না হলেও একটু আলসে! আরাম প্রিয় ও পরভোগী প্রকৃতির চড়–ই পাখি। এদের বসবাস পরের বাসা বাড়িতে, বিভিন্ন চিেেকাঠায়। তাই তো বাংলার কবি তাদের হৃদয়ের করুণ ভাষায় চড়–ই আর বাবুইকে নিয়ে অসাধারণ কবিতা লিখে গেছেন। তাল গাছ এখন আর প‚র্বের দিনের মতো নেই। চিরচেনা এই ঐতিহ্যবাহী তাল গাছ আমাদের মাঝ থেকে বিলুপ্তের পথে আর সাথে সাথেই হারিয়ে যাছে বাবুই ও বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা। তাল গাছ আর বাবুই পাখির বাসা যেন একে অপরের পরিপ‚রক। শুধু বাবুই আর চড়–ই পাখিই নয় কালের আবর্তনে হারিয়ে যাছে পৃথিবীর নাম জানা ও না জানা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাছে মিষ্টি মধুর কলতান আর প্রকৃতির মনোরম দৃশ্যপট। যুগে যুগে কবি সাহিত্যিকরা প্রকৃতির নানান রূপ নিয়ে সৃষ্টি করেছেন কত না রঙবে রঙের গল্প-কবিতা। আজ ফেলে আসা দিন গুলির সাথে ভবিষ্যৎ প্রন্মের মিলের গরমিল হয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কছে আজ এই দৃষ্টি নন্দন মনোরম দৃশ্যগুলি কল্পনার মতো লাগে। পৃথিবীর বুকে প্রকৃতির এক অপরূপ সুন্দর মনোরম দৃষ্টিনন্দন বাবুই পাখির বাসা। এমন দৃশ্য এমন প্রকৃতি হারিয়ে যাওয়ার আগেই প্রকৃতিতে প্রয়োজন তাল গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। বনা লে হাজার হাজার রকম গাছ থাকলেও বাবুই পাখির বাস¯’ান ও জন্ম বৃদ্ধির জন্য বাবুই পাখির প্রথম পছন্দ। কিš‘ এখন প্রশ্ন থেকে যায় বাবুই পাখি কেন তাল গাছে বাসা বাঁধে ? তথ্য অনুসন্ধানের প্রে¶িতে জানা যায়, বাবুই পাখির গুনের শেষ না থাকলেও রয়েছে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রচন্ড রকমের ভয়। বিভিন্ন জš‘, পোকামাকড়, শাপ, বি”ছুর হাত থেকে বাঁচতে তাল গাছের পাতায় কাটাকেই ঢাল হিসাবে নিছে। পাতার আগার দিকের শেষাংশে ঝুলে শুণ্যের উপরে তৈরী করেছে মনোরম দৃষ্টিনন্দন বাসা যা বাতাসে দুলতে থাকে। প্রচন্ড ঝড় বাতাসে তাল গাছের বড় বড় পাতা গুলো বিভিন্ন ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। তাছাড়া প্রকৃতিতে মনোরম দৃশ্যটি কেবল তাল গাছেই শোভা পায়, এমনি ভাবে গভির বুদ্ধিমত্তায় গড়ে উঠে বাবুই পাখির বাসা। সে কারনেই প্রকৃতিতে তাল গাছ ও বাবুই পাখির বাসা খুবই প্রয়োজন থাকলেও অতিরিক্ত ইটের ভাটা তৈরি হওয়াকে কেন্দ্র করে এগুলো আমাদের মাঝ থেকে বিলুপ্তের পথে। # ছবি সংয
নড়াইলে বর্ষার ঐতিহ্যবাহী কদম ফুলের হাসি : এখন হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা দৃশ্য

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ আজ (২৯ জুন)-৭৪-০১৬৭৭৪২১১২৫: নড়াইলে এই কদম ফুল বাঙ্গালীর শিল্প-সাহিত্যের এক অনন্য উৎস। মোহনীয় গন্ধে ময় ময় গন্ধ এখন আকাসে বাতাসে কদম ফুলের হাসি:হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা দৃশ্য এই কদম ফুলকে ঘিরে বাংলা সাহিত্যে রচিত হয়েছে অসংখ্য ছড়া কবিতা গান ও উপন্যাস। বাঙ্গালী ও কদমফুল একই স‚ত্রে গাঁথা। ফুলকে বলা হয় ঋতুর দ‚ত, প্রকৃতির হাসি। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, আর ঋতু চক্রের ভিন্নতা হচ্ছে প্রকৃতির সাজ। প্রকৃতির এই সাজ ও হাসিকে অব্যাহত রাখার জন্যই ঋতুতে ঋতুতে দেখা যায় চেনা অচেনা অসংখ্য ফুলের সমাহার। এসব জানা অজানা অজস্র ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলে অপরূপ সাজে। এমনই একটি ঐতিহ্যবাহী বন ফুল হচ্ছে কদম ফুল। এই কদম ফুল বাঙ্গালীর শিল্প-সাহিত্যের এক অনন্য উৎস। মোহনীয় গন্ধে ভরপুর এই কদম ফুলকে ঘিরে বাংলা সাহিত্যে রচিত হয়েছে অসংখ্য ছড়া কবিতা গান ও উপন্যাস। বাঙ্গালী ও কদমফুল একই স‚ত্রে গাঁথা। কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে প্রতিটি বাঙ্গালীকে প্রৃকতির প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে। কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দ‚ত। প্রতিবছরই কদম ফুল বর্ষার আগাম বার্তা বয়ে আনে প্রকৃতির বুকে। বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়েই ফুটে কদম ফুল। আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে,বর্ষার এই বিরামহীন বর্ষনে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। হলুদ সাদার সংমিশ্রনে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে। বাড়ির পাশের ঝোপ ঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃ¶ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার অনুভ‚তি। আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়। বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে। আগের মত যেখানে সেখানে দেখা যায়না এই অপরুপ সুন্দর্যের প্রতিক কদম ফুল গাছ। গাছের মগডালে জেগে ওঠা কদম ফুলের জুড়ি নেই বটে। সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু। আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগ তো রয়েছেই। সৌভাগ্যক্রমে নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় এ কদম ফুল গাছ এখনও টিকে রয়েছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন পিপিএম নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বর্ষার অনুভ‚তি। আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়। বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে। আগের মত যেখানে সেখানে দেখা যায়না এই অপরুপ সুন্দর্যের প্রতিক কদম ফুল গাছ।# ছবি সংয

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here