মোঃ অালী হাসান,জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাইয়ে নীতিমালার আলোকে কালাই ডিগ্রি কলেজ
এবং কালাই মহিলা ডিগ্রি কলেজের মধ্যে কোনটি জাতীয়করণ করা হবে তা নিয়ে কালাই ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো.
মিনফুজুর রহমান বাদী হয়ে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চে রিট পিটিশন করেন। রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং
একেএম জাহিরুল হক শর্তসাপেক্ষে এ রিটের নিষ্পত্তির আদেশ দেন। কালাই মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেই শর্ত ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন রিট
পিটিশনের বাদী মো. মিনফুজুর রহমান।
রিট পিটিশনের শর্তসাপেক্ষ আদেশের বিবরণে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নীতিমালা ২০১৩’র আলোকে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি আবশ্যিক শর্তগুলো সম্পূর্ণরূপে পূরণ করেছে, তা পর্যবেক্ষণ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদেশের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিট পিটিশনের
৩ নম্বর বিবাদী ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর’ ঢাকার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের হাইকোর্টে জমা দিতে হবে। ততদিন পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থায়
থাকতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনার ভিত্তিতেই রুলের নিষ্পত্তি হবে।
মো. মিনফুজুর রহমানের অভিযোগ, কলেজের জাতীয়করণ প্রক্রিয়াটি স্থগিত আছে এবং এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। কালাই মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাইকোর্টের রিট পিটিশনের নিষ্পত্তির আগেই এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি হস্তান্তর, জাতীয়করণের গেজেট প্রকাশসহ অন্য মেজর প্রক্রিয়া শেষ না হতেই প্রধান ফটক, প্যাড, চিঠিসহ অন্যান্য কাগজপত্রে সরকারি মহিলা কলেজ কথাটি লিখতে পারেন না। এটা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কালাই মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাজিম উদ্দিনের দাবি, হাইকোর্টের রিট পিটিশনটি ৭ জানুয়ারি নিষ্পত্তি হয়েছে। মামলায় কলেজটির সরকারিকরণের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বাতিল বা স্থগিত কোনোটিই করেননি। সুতরাং ওই
কলেজটির সরকারিকরণ বহাল আছে।
খবর৭১/এস: