রাকিব হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : গত ২৫ জুলাই বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়ায় অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের পাঁচজন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ভোট গণনায় অভিযোগ এনে রবিবার বিকালে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তারা ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় সাধারণ ও সংরক্ষিত এসব আসনের ব্যালট গণনার দাবি করেছেন।
এরা হলেন সংরক্ষিত ৪,৫,৬ আসনের মহিলা পরাজিত প্রার্থী মোসাম্মৎ খাদিজা বেগম, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মেম্বার প্রার্থী নাজমুল আহসান, চার নং ওয়ার্ডের সাধারণ মেম্বার প্রার্থী চুন্নু তালুকদার ও এক নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মতিউর রহমান।
খাদিজা বেগমের দাবি ফলাফলের এজেন্ট ফরমে গণনার আগেই তার নিয়োজিত এজেন্টের সই নেয়া হয়।
তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী গোলেনুর জাহানকে ৩৩ ভোটে অন্যায়ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
সঠিকভাবে মহিলা আসনের ব্যালট গণনা করা হয়নি। ছয় নম্বর কেন্দ্রের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী নাজমুল আহসানের দাবি প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী রকিব বিশ্বাসকে অবৈধভাবে গণনার মাধ্যমে ৬২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
চার নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী চুন্নু তালুকদার জানান, তাকে শুধুমাত্র সঠিকভাবে গণনা না করে অন্যায়ভাবে লিটন সাউগারকে সাত ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
মাসুম বিল্লাহ প্রিন্সের দাবি তাকে তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে পাঁচ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
এক নম্বর ওয়ার্ডের মতিউর রহমানের দাবি তাকে ৫০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়েছে।
প্রত্যেকের অভিযোগ তারা স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে তাৎক্ষণিক মেম্বার ব্যালট পুনরায় গণনার দাবি করলে তা করা হয়নি।
উল্টো তাদেরকে পুলিশের মাধ্যমে হয়রাণি করা হয়েছে।
এসব প্রার্থীরা অভিযোগ করেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ভোট গণনার মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করে দিয়েছেন।
তারা তাদের কেন্দ্রের সংরক্ষিত মহিলা এবং সাধারণ পুরুষ মেম্বার প্রার্থীদের ব্যালট পুনরায় গণনার দাবি করেছেন।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রিজাইডিং অফিসাররা জানান, কোন ধরনের অনিয়ম করেননি।
অভিযোগ সম্পুর্ণ অসত্য।
রিটার্ণিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশীদ জানান, তাৎক্ষণিক তাকে এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ জানায়নি। একদিন পরে শুক্রবার একজন এবং রবিবার অপর মেম্বার প্রার্থী তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে ঘোষিত ফলাফলের পরে ব্যালট পুনরায় গণনার এখতিয়ার তার নেই।
খবর ৭১/এসঃ
