কলাপাড়ায় পাঁচ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

0
330

 

ফরাজী মো.ইমরান,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে নির্মিত এই বাঁশের সাঁকোই যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে কোন ধরনের কোন সেতু কিংবা কালভার্ট নির্মান না করায় চরম ভোগান্তিতে স্কুল, কলেজ গামী মিক্ষার্থীসহ গ্রামের প্রতিটি মানুষ।
উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের উত্তর ও মধ্য দেবপুর গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। এসব মানুষের উত্তর ও মধ্য দেবপুর থেকে দেবপুর বাঁধঘাট হয়ে আসতে হয় উপজেলা সদরে। আর এ উত্তর, মধ্য দেবপুর ও দেবপুর বাঁধঘাটের মাঝখানে রয়েছে মহার বান খাল। খাল পারাপারে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে তৈরী করেছেন বাশেঁর সাঁকো। খালের দক্ষিন পারে রয়েছে দক্ষিন দেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধানখালী এস এইচ এ্যান্ড আশ্রাফ একাডেমী স্কুল। প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে পারপার করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের প্রতিটি মানুষ। আর এ সাঁকো পারাপারে প্রায়:শই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তবে এই এলাকার সাঁকো পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কৃষকরা। এছাড়া কোন এ্যামারেজেন্সী রোগী কিংবা গর্ভবতী রোগীদের সদর হাসপাতালে আসতে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। জনপ্রতিনিধিরা এই বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে সেতু কিংবা কালভার্ট নির্মানের প্রতুশ্রুতি দিলেও আজও তা বস্তবায়ন হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি ব্রিজ কিংবা কালভার্ট নির্মান করলে দুর্ভোগ অনেকটা কমবে বলে মনে করেছেন এলাকাবাসীরা।
দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে
যাতায়াত করছি। যে কোন সময় আমরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি। পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষর্থী মোসা. মুক্তি জানান, সাঁকো পারাপারে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। এছাড়া এই সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকে শিক্ষার্থীই বই-খাতা নিয়ে খালে পড়ে যায়।
চম্পাপুর ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। এটা বার বার উর্ধ্বতন মহলে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
কলাপাড়া উপজেলা চেয়্যারমান আবদুল মোতালেব তালুকদার জানান, ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা আমি জানি। বরাদ্ধ পেলে অচিরেই এখানে একটি কালভার্ট নির্মান করা হবে।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here