কলকাতায় নিখোঁজ ছাতকের সাংবাদিকের সন্ধান পেতে হাইকমিশনে বার্তা

0
554

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধিঃ
ভারতের কলকাতা যাদবপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার ছাতক প্রতিনিধি সৈয়দ অর রশীদের কোন সন্ধান ৬ দিনে দিতে পারেনি কলকাতার পুলিশ। সাংবাদিক নিখোঁজের বিষয়টি কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা ও বাংলাদেশের বিভন্ন পত্রিকায় গত ক’দিন ধরে সংবাদ আকারে ছাপা হলেও নিখোঁজের কোন ক্লু উদঘাটনও হয়নি এখনো। সাংবাদিক নিখোঁজের ঘটনায় ছাতক, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের সাংবাদিক মহলে বিরাজ করছে উৎকন্ঠা ও হতাশা। পাশাপাশি নিখোঁজ এ সাংবাদিককে উদ্ধারে এখানের জনপ্রতিনিধি ও শুভাকাংখিরা স্ব-স্ব উদ্যোগে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল এক লিখিত বার্তায় কলকাতার ডেপুটি হাই কমিশনার দাস্তগীর মহোদয়কে নিখোঁজ সাংবাদিক হারুন অর রশীদকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে বিশেষ অনুরোধ করেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় নিখোঁজ সাংবাদিকের পুত্র তার অফিসে এসে পরো ঘটনা তাকে অবগত করে। পরে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিক নিখোঁজের বিষয়টি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব, ছাতকের কৃতি সন্তান নজিবুর রহমান মহোদয়কে অবগত করেছেন বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য ভারতে ভ্রমন করতে গিয়ে সৈয়দ হারুন-অর রশীদ(৫৮) নামের ছাতকের এক সাংবাদিক ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। ১৪ নভেম্বর বুধবার দুপুরে কলকাতার যাদবপুর ফেয়ারলি প্লেস এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের বিষয়টি কলকাতার একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে সৈয়দ হারুন অর রশীদ নামের এক বাংলাদেশী নিরুদ্দেশ হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। গত ১১ নভেম্বর ভ্রমনের উদ্দেশ্যে সৈয়দ হারুন অর রশীদ তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সৈয়দ রুমান রশীদ জামিকে নিয়ে বাংলাদেশের জাফলং হয়ে ডাউকি সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ওই দিন শিলংয়ে অবস্থান করে পরদিন তিনি ছেলেকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। কলকাতায় চিকিৎসা নিতে আসা তার ভায়রা ভাই ও শালিকার ভাড়াটে বাসায় উঠেন পিতা-পুত্র। বুধবার দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে পুত্রকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে রেল ষ্টেশনে যান তিনি। ষ্টেশনে গিয়ে টিকেটের জন্য পুত্র জামিকে লাইনে দাড় করিয়ে তিনি নিকটস্থ যাদবপুর ফেয়ারলি প্লেস এলাকার একটি মানি একচে থেকে ডলার ভাঙ্গাতে যান। এখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হন বলে পত্রিকার সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে। এদিকে পিতা ফিরে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনতে-গুনতে এক পর্যায়ে তাকে খুঁজতে বের হয় জামি। আশপাশ এলাকায় অনেক খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান না পেয়ে ঘটনাটি নিকটস্থ থানায় গিয়ে পুলিশের সহায়তা চায় তারা। গত ৬ দিন ধরে পুলিশের সহায়তায় সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকা, পুলিশ ষ্টেশন ও আশপাশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে তল্লাশী করেও তার কোন সন্ধান পায়নি কলকাতার স্থানীয় পুলিশ। এদিকে ছাতক প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ রোববার সকালে নিখোঁজ সাংবাদিকের নোয়ারাই এলাকার নিজ বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here