করোনা ভাইরাস: শিশুরা কেন অসুস্থ হচ্ছে না

0
604
করোনা ভাইরাস: শিশুরা কেন অসুস্থ হচ্ছে না

খবর৭১ঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের তালিকায় প্রাপ্ত বয়স্কদের বেশি দেখা গেছে। সেখানে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু কেন? তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মের মাত্র ৩০ ঘণ্টা পর এক নবজাতক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। যা সবচেয়ে কম বয়সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিজ্ঞানীরা।

বিবিসির খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাস নিয়ে সর্বশেষ গবেষণাটি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহানের জিনইনতান হাসপাতালের রোগীদের বিষয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী ৩৯ বছরের কম বয়সী। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম।

কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী? এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব রয়েছে। কিন্তু শিশুরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে না এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে সুনির্দিষ্ট জবাব নেই।

গবেষকরা বলেন, ‘শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বিরল। কারণ পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। হয় শিশুরা সংক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না।
বিবিসিকে একথা বলেন ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের ভাইরাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান বা ভাইরোলজির অধ্যাপক ইয়ান জোনস।

এ বিষয়ে সহমত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ক্লিনিক্যাল প্রভাষক নাথালি ম্যাকডারমট। বলেন, ‘পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষভাবে কাজ করে। তারা হয়তো আক্রান্ত কিন্তু তাদের সংক্রমণটা বেশ মৃদু বা তাদের মধ্যে সংক্রমণের কোন উপসর্গ থাকে না।’

ম্যাকডারমট মনে করেন যে, প্রাপ্তবয়স্করা যেভাবে ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে শিশুরা হয়তো সেভাবে ততটা সংস্পর্শে আসেনি। কারণ প্রাদুর্ভাব শুরু হয় চীনের নতুন বছরের ছুটির সময় যখন স্কুলগুলো বন্ধ ছিল।

তিনি মনে করেন, এই চিত্র পাল্টে যেতে পারে, কারণ রোগ বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে করে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাসের সংস্পর্শে আশার আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে।

গবেষক ইয়ান জোনস বলেন, ‘নিউমোনিয়া (করোনা ভাইরাসের উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি) তাদেরকেই বেশি আক্রান্ত করে যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, কারণ তাদের স্বাস্থ্য এমনিতেই খারাপ কিংবা তারা হয়তো তাদের জীবনের শেষ দিনগুলো পার করছে।’

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ চীনে আক্রান্ত হলেও আরো ৩০টি দেশে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here