খবর ৭১ঃ দরজায় কড়া নারছে কোরবানির ঈদ। উৎসবের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্চ নিরাপদে ঘরে ফেরা। তাই শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে বাড়ি যাওয়া মানুষের ব্যাপক ভীড় লক্ষ করা গেছে।
কমলাপুরে ২৬টি কাউন্টার থেকে একযোগে চলছে টিকিট বিক্রি। প্রতিটি টিকিট কাউন্টারের সামনে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো কমলাপুরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আজ পাওয়া যাচ্ছে ১৯ আগস্টের টিকিট।
কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়, কিন্তু এই টিকিট পেতে গত রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় টিকিট প্রত্যাশীরা। যারা টিকিট কিনতে গেছেন তাদের বেশিরভাগই গত রাত থেকে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে। মানুষের এই লাইন দীর্ঘ হয়ে স্টেশনের বাইরে গিয়ে ঠেকেছে। প্রতিটি কাউন্টারের লাইনে শত শত মানুষ।
রেল কর্মচারীদের মতে, এর আগে কখনও এতো মানুষ দেখা যায়নি। অন্যান্য বারের মতো কাউন্টার খুলতে না খুলতেই টিকিট শেষ! এ হিসাবই বলে দিচ্ছে আসন্ন ঈদে ট্রেনের উপর ঘরমুখি মানুষের চাপ আগের তুলনায় অনেক বাড়বে।
আগামীকাল পাওয়া যাবে ২০ আগস্টের টিকিট আর ১২ আগস্ট মিলবে ২১ আগস্টের টিকিট। এই দিনগুলোতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি হবে।
এদিকে ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। ঈদ ফেরত অগ্রিম টিকিট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিক্রি শুরু হবে। ফিরতি টিকিট ১৫ আগস্টে পাওয়া যাবে ২৪ আগস্টের টিকিট। একইভাবে ১৬,১৭, ১৮,১৯ আগস্ট যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৫,২৬,২৭,২৮ আগস্টের টিকিট। টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রেন পরিচালনায় সাথে সম্পৃক্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হবে। ২১,২২ আগস্ট মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং ২৩ আগস্টে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করবে না। একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ টি টিকিট দেয়া হবে এবং বিক্রিত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। ঢাকা স্টেশনে ২৬টি কাউন্টার খোলা রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে পবিত্র ঈদুল আজহার ৫ দিন আগে ১৮ আগস্ট থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেন সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করলেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৈনিক ৩ লাখ যাত্রী চলাচল করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হবে।