কনস্টেবলের মানবিকতায় রক্ষা পেল শিশুটি

0
214

খবর ৭১ঃভর দুপুরে ঘরের বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে লোহার শেকল দিয়ে বেঁধে ৯/১০ বছরের শিশুটির উপর চলছিলো মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন। চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হচ্ছে কিন্তু আদৌ চুরি করেছে কিনা কেউ দেখেনি। অনেক মানুষ ঘিরে আছে। তামাশা দেখছে। মারের কারণে শিশুটি আর্তনাদ করছে কিন্তু সেটাকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেনা। চট্টগ্রাম কোতয়ালি থানা এলাকার লালদিঘীর পাড়ের মহল মার্কেট সংলগ্ন এলাকার এ ঘটনাটি গত সোমবারের।

শিশুটির উপর যখন অমানুষিক নির্যাতন চলছিল, তখন ডিউটি শেষ করে সাদা পোষাকে সে পথ দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের কনস্টেবল সাজ্জাদুল হক সুমন। শিশুটির আর্তনাদ কনস্টেবলের বিবেককে নাড়া দেয়।

তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেন। এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার জন্য আটককারী ব্যক্তিটিকে শাসান। শিশুটি অপরাধ করে থাকলে তাকে থানায় দিতে বলেন। তখন উপস্থিত লোকজনও তাকে সমর্থন করে। অবস্থা বেগতিক দেখে লোকটি শিশুটিকে শেকলমুক্ত করে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।

কনস্টেবল সুমন বলেন, ‘শিশুটিকে যখন শেকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন চালানো হচ্ছিল তখন অনেক লোক তামাশা দেখছিলেন। একটি শিশুর কান্না ও আঁকুতি যেন কারোরই মনকে নাড়া দিচ্ছিলো না। মনে হলো এমন চলতে থাকলে শিশুটি মরেই যাবে। তাই উদ্ধার করতে এগিয়ে যাই।’

সুমন বলেন, ‘আমি সাদা পোশাকে থাকায় এবং শিশুটিকে শেকলমুক্ত করার জন্য ব্যস্ত থাকার ফাঁকে নির্যাতনকারী ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাই তাকে আটক করতে কিংবা পরিচয় উদঘাটন করতে পারিনি।’

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এবি সিদ্দিক বলেন, ‘মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের কনস্টেবল সাজ্জাদুল হক সুমনের মানবিকতার কারণে হয়তো বেঁচে গেল শিশুটির প্রাণ। অন্যথা তার পরিণতিও সিলেটের শিশু রাজনের মতো হতে পারতো।’

তিনি কখনোই আইন হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানান। এ ধরণের ঘটনায় সবাইকে সাজ্জাদুল হক সুমনের মতো হৃদয়বান হওয়ার আহ্বান জানান।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here