কঙ্গোতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব: প্রাণহানির সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে

0
223

খবর৭১:কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নতুন ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর গত কয়েক মাসে ৫শ’রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলি ইলুঙ্গা কালেঙ্গাকে উদ্ধৃত করে প্রাণহানির এ সংখ্যা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ওলিঙ্গার দাবি, কঙ্গো সরকারের এক ভ্যাকসিন কর্মসূচির সহায়তায় আরও কয়েক হাজার মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সন্তানের কফিনের পাশে বসে মায়ের আহাজারি
ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সন্তানের কফিনের পাশে বসে মায়ের আহাজারি
মধ্য আফ্রিকার উত্তরাংশে কঙ্গোর উপত্যকায় প্রবাহিত ইবোলা নদী থেকে ইবোলা ভাইরাসের নামকরণ। সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কঙ্গোর উত্তর কিভু অঞ্চলে নতুন করে ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তখন থেকে সর্বমোট ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৭১ জনকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে।

কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলি ইলুঙ্গা কালেঙ্গা বলেছেন, প্রথমবারের মতো ৭৬,৪২৫ জন মানুষকে ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকানো গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অঞ্চলের বড় বড় শহরগুলোতে আমরা ইবোলার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পেরেছি।’

১৯৭৬ সালে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এই নিয়ে দশমবারের মতো কঙ্গোয় ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ঘটনা ঘটলো। বানর এবং বাদুড়ের মতো বন্য প্রাণী থেকে প্রথম এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। দেহ থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন ধরণের রসের (রক্ত,লালা) মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। ইবোলার উল্লেখযোগ্য কোনও চিকিৎসা নেই। প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, পেশীতে ব্যথা, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক রক্তক্ষরণ। ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঘটনায় এই ভাইরাস প্রাণঘাতী হতে পারে।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here