কখনোই স্বাভাবিক জীবন পাবে না উদ্ধার হওয়া কিশোররা?

0
250

খবর ৭১ঃথাই ডাক্তাররা বলছেন, উদ্ধার হওয়া ১২ কিশোর ও তাদের কোচ এখন ভালো ও সুস্থ আছে। ফুটবলার হওয়ায় এত দিন গুহায় থাকার পরও তারা মানসিকভাবে চাঙা আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা আর কখনও হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়বে গুহায় আটকা পড়ার ভয়ঙ্কর স্মৃতি। কখনও সাঁতার কাটতে গেলে কিংবা অন্ধকার বা আবদ্ধ কোনো স্থানে গেলেই গুহার স্মৃতি মনে করে ভয়ে কুঁকড়ে যেতে পারে তারা।

তারা বলছেন, উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত যে ধরনের ধকল গেছে দলটির ওপর দিয়ে তাতে দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভুগতে পারে তারা। মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অক্সফোর্ড সেন্টার ফর অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার্স অ্যান্ড ট্রমা’র ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী ও পরামর্শক ড. জেনিফার ওয়াইল্ড বলেন, ১২ কিশোর ও তাদের কোচের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজ কর্মে ফিরে  আসতে পারে গুহার ভেতরে তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি। এমনকি দলের কেউ কেউ আর কখনও সাঁতার কাটতে কিংবা অন্ধকার ও বন্ধ কক্ষে থাকতে সক্ষম নাও হতে পারে।

অপর এক মনোবিজ্ঞানী ড. সার্ব জোহাল বলেন, গুহার যে পরিবেশে তারা আটকে ছিল তা থেকে একটা শারীরিক ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। মাটির নিচে গুহার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ থেকে সংক্রমণ রোগ তাদের জন্য সম্ভাব্য হুমকি হতে পারে।

অপর এক মনোচিকিৎসক ড. আন্ড্রিয়া ডানেসে বলেছেন, উদ্ধারের পর কয়েক মাস ধরে পিটিএসডিতে ভুগতে পারে দলের বেশির ভাগ কিশোরই। তিনি বলেন, মনোবিজ্ঞানে পোস্ট-ট্রমেটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)বা দুর্ঘটনা-পরবর্তী মানসিক বিষণ্ণতা বলে একটা কথা আছে। এ পিটিএসডি এড়াতে হলে সে ক্ষেত্রে পুরো ঘটনাকে তাদের সামনে ‘নিছক একটা অনাকাঙিক্ষত দূর্ঘটনা’ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। তারা যে মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে ফিরেছে সেটা কখনোই তাদের সঙ্গে আলোচনা করা যাবে না।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here