খবর ৭১ঃ কক্সবাজার শহরে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় অন্তত পাঁচ শিশুর প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে তিন জন।
বুধবার সকালে কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়ার বাঁচামিয়ার ঘোনা ও রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটে।
মৃতরা হলো- বাঁচা মিয়ার ঘোনা এলাকার প্রবাসী জামাল হোসেনের তিন মেয়ে মর্জিয়া আক্তার (১৪), কাফিয়া আক্তার (১০) ও খায়রুন্নেছা (৬), ছেলে আব্দুল হাই (১০) এবং রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার জাফর আলমের ছেলে মোর্শেদ আলম (৬)।
স্থানীয়রা জানান, দুর্গম এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে টিনের বেড়ার বাড়ি তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিল পরিবারটি। বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শহরের বাঁচামিয়ার ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা। এ ঘটনায় একই পরিবারের চার ভাইবোনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জামাল হোসেনের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম আহত হয়েছেন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় বুধবার ভোরে পাহাড় ধসে মোর্শেদ (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার জাফর আলমের ছেলে। তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, ঘটনাটি সকালে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রামের কোনো কোনো স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল। এই আশঙ্কা এখনো অব্যাহত আছে।